
বিএনপির সঙ্গে সংলাপে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নুরুল কাদের দলটির প্রতিষ্ঠাতা ‘জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা’ বলে যে প্রশংসা করেছেন তা দলটিকে নির্বাচনে আনার কৌশলও হতে পারে বলে মনে করছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন।
সোমবার কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বিশ্ব খাদ্য দিবসের অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের একথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, “প্রধান নির্বাচন কমিশনার জিয়াকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা বলেছেন, তিনি এটি ভেতরে বলেছেন, তিনি কোনো প্রেস ব্রিফিং করেননি। এটি আমাদের কনফার্ম হতে হবে।”
আওয়ামী লীগের সঙ্গে ইসির সংলাপে বিষয়টি স্পষ্ট হবেন বলে আশা করছেন তিনি।
“আমাদেরও সংলাপ আছে, কাজেই আমাদের যা কিছু জানার, এ বিষয়ে আমরা নিশ্চিত হব,তিনি আসলে কী বলেছেন। এ নিয়ে তার সাথে কথা বলার সুযোগ আছে।”
তবে সিইসি যদি ওই বক্তব্য দিয়ে থাকেন, তা দশম সংসদ নির্বাচন বর্জনকারী বিএনপিকে আগামী নির্বাচনে আনার কৌশল খাটিয়েছেন বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
“এটি বিএনপিকে নির্বাচনে নিয়ে আসার কৌশলও হতে পারে। বিএনপিও খুব আশাবাদী, মির্জা ফখরুলের বিষণ্ন মুখে খুব খুশি খুশি ভাব দেখলাম, এই আশাবাদী ভাবটা যেন আগামী নির্বাচন পর্যন্ত থাকে,এটি আশা করি।”
বিএনপি আমলে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছিল তখনকার যুগ্মসচিব নূরুল হুদাকে। পরে পক্ষে আদালতের রায় পেয়ে সচিব হিসেবে তিনি অবসরে যান।
এবার সিইসি হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর তাকে ১৯৯৬ সালের ‘জনতার মঞ্চের লোক’ বলে প্রতিক্রিয়া জানায় বিএনপি। তবে নূরুল হুদা বিএনপিকে হটানোর ওই আন্দোলনে সম্পৃক্ততা অস্বীকার করে আসছেন।
ইসির কাছে নিরপেক্ষতা প্রত্যাশা করে ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “ইসি নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ করুক, এটা আওয়ামী লীগ চায় না।”
আগামী ১৮ অক্টোবর আওয়ামী লীগের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের বৈঠক আছে। সেখানে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানার সুযোগ হবে বলেও জানান তিনি।