শুক্রবার বিদেশ যাচ্ছেন প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা

এস কে সিনহা

বিদেশে যাচ্ছেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। বিষয়টি রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদকে জানাতে আইন মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি। এ চিঠি পাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ।

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যখন বিদেশে যাই, তখন একটি জিও (সরকারি আদেশ) করতে হয়। মাননীয় প্রধান বিচারপতি যখন বিদেশ যান, তখন তাঁর জন৵ও জিও করতে হয়। তিনি জিও করার জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন বলে আমি শুনেছি।’

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘চিঠি আমার মন্ত্রণালয়ে পৌঁছার পর সচিব মহোদয় আমাকে জানিয়েছেন যে এটা পৌঁছেছে। এখন প্রসেস করা হচ্ছে। আমার কাছে না আসা পর্যন্ত এটার কনটেন্ট (বিষয়বস্তু) কী আমি বলতে পারব না।’
আইন সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক জানান, মঙ্গলবার বিকালে প্রধান বিচারপতির ওই চিঠি মন্ত্রণালয়ে পৌঁছায়।

তিনি বলেন, “প্রধান বিচারপতি বিদেশে যাবেন এটা রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করতে আমাদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন। এটি এখন প্রক্রিয়াধীন।”

আইন মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, প্রধান বিচারপতি তাঁর চিঠিতে ১৩ অক্টোবর থেকে ১০ নভেম্বর বিদেশে থাকবেন বলে উল্লেখ করেছেন।

সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণার পূর্ণাঙ্গ রায় ১ আগস্ট প্রকাশিত হয়। রায় প্রকাশের পর এ নিয়ে সরকার ও ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ সংক্ষুব্ধ হয়। বিশেষ করে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বিভিন্ন পর্যবেক্ষণ নিয়ে ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করে আসছিলেন মন্ত্রী, দলীয় নেতা ও সরকারপন্থী আইনজীবীরা। তাঁরা প্রধান বিচারপতির পদত্যাগের দাবিও তোলেন।

১৪ সেপ্টেম্বর সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় এবং তার কিছু পর্যবেক্ষণের বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নিতে জাতীয় সংসদে একটি প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়।

গত ২৭ আগস্ট থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের অবকাশকালীন ছুটি ছিল। এর মধ্যে প্রধান বিচারপতি ৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিদেশ সফরে ছিলেন। অবকাশ শেষে সুপ্রিম কোর্ট খোলার দিনই অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে ৩ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর পর্যন্ত ৩০ দিনের ছুটিতে যান সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। ছুটিতে গিয়েই তিনি সস্ত্রীক অস্ট্রেলিয়ায় পাঁচ বছরের ভিসার জন্য আবেদন করেন। তাঁদের তিন বছরের ভিসা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।

আগামী ৩১ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতির অবসরে যাওয়ার কথা।