
দুই বছর আগে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বাসে পেট্রোল বোমা মেরে আটজনকে পুড়িয়ে হত্যার মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।
এ মামলায় ৭৮ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করে কুমিল্লার জেলা ও দায়রা জজ জেসমিনা বেগম সোমবার এই আদেশ দেন বলে পিপি মোস্তাফিজুর রহমান লিটন জানান।
তদন্ত শেষে চলতি বছরের ৬ মার্চ কুমিল্লার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। সেখানে খালেদা জিয়াসহ মোট ৭৮ জনকে আসামি করা হয়।
মামলা তদন্তকালে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরীসহ ২২ জনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তদন্তকালে আসামীদের ২ জন মৃত্যুবরণ করেন। অপর ৪ জনের ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত না থাকায় চার্জশীটে তাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
মামলায় অভিযুক্ত ১২ জনসহ ২৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনায় সম্পৃক্ত ৩ জন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন।
২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি বিএনপির ডাকা অবরোধ চলাকালে দিবাগত রাত সাড়ে তিনটায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম উপজেলার জগমোহনপুরে কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী একটি (ঢাকা মেট্রো ব ১৪-৪০৮০) বাসে দুর্বৃত্তরা পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে । মুহূর্তের মধ্যে বাসটিতে আগুন ধরে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। সেসময় বাসের কয়েক যাত্রী জানালা দিয়ে লাফিয়ে প্রাণে বাঁচতে পারলেও দগ্ধ হন অন্তত ২০ যাত্রী। এদের মধ্যে ৮ জন নিহত হন।
এ ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম থানার এসআই নুরুজ্জামান হাওলাদার বিএনপি-জামায়াতের ৫৬ জনের নাম উল্লেখ করে, আরও ১৫ থেকে ২০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি দেখিয়ে মামলা করেন, যাতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করা হয়।