অবশেষে যান চলাচলের জন্য পুরোপুরি খুলে দেওয়া হচ্ছে রাজধানীর মৌচাক-মগবাজার ফ্লাইওভার। ঈদের পর প্রধানমন্ত্রী সময় পেলে তিনি ফ্লাইওভারটির উদ্বোধন করবেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
এরই মধ্যে উড়াল সড়কটির কাজ শেষ হয়েছে। এখন চলছে ধোয়ামোছার কাজ। ঈদের আগেই এটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া চেষ্টা চললেও প্রধানমন্ত্রীর সময় না পাওয়ায় সময়টা পিছিয়ে গেছে।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, “ফ্লাইওভারের কাজ শেষ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঈদের আগে সময় দিতে পারছেন না। ঈদের পরপরই সেটা আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি উদ্বোধন করবেন। এরপর সে ফ্লাইওভার দিয়ে যান চলাচল শুরু হবে।”
ফ্লাইওভারটির নির্মাণ কাজ তিন ভাগে করা হয়েছে। একটি অংশে রয়েছে সাতরাস্তা-মগবাজার-হলি ফ্যামিলি পর্যন্ত, আরেকটি অংশে শান্তিনগর-মালিবাগ-রাজারবাগ পর্যন্ত এবং শেষ অংশটি বাংলামোটর-মগবাজার-মৌচাক পর্যন্ত।
২০১৬ সালের ৩০ মার্চ ফ্লাইওভারের হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল থেকে সাতরাস্তা পর্যন্ত অংশটি যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তা উদ্বোধন করেন।
ওই বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর ফ্লাইওভারের ইস্কাটন-মৌচাক অংশের যান চলাচল উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তৃতীয় ধাপে ফ্লাইওভারের এফডিসি মোড় থেকে সোনারগাঁও হোটেলের দিকের অংশটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয় এ বছর ১৭ মে।
তবে উদ্বোধনের আগেই তাতে যানবাহন চলাচল শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছেন এ উড়াল সড়কের নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান তমা কনস্ট্রাকশনের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক।
২০১৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্য নিয়ে ২০১১ সালে যখন এই ফ্লাইওভার নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল, তখন এর ব্যয় ধরা হয়েছিল ৭৭২ কোটি ৭০ লাখ টাকা। এর পর কয়েক ধাপে ব্যয় বেড়ে হয়েছে এক হাজার ১৩৫ কোটি টাকা।
Be the first to comment