
দেশজুড়ে ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সংস্কৃতিক কেন্দ্র তৈরি করবে সরকার , যার জন্য সম্পুর্ন নিজস্ব অর্থায়ন থেকে ব্যয় হবে ৮ হাজার ৭২২ কোটি টাকা।
দুই বছর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সৌদি আরব সফরে বাংলাদেশে উপজেলা পর্যায়ে ইসলামিক সাংস্কৃতিক সেন্টার স্থাপনের প্রস্তাব দিলে সৌদি বাদশাহ তাতে অর্থায়নের আগ্রহ দেখিয়েছিলেন।
সৌদি আরবের ১০০ কোটি ডলার অনুদান আসছে ধরে ৯ হাজার ৬২ কোটি টাকায় ‘প্রতিটি জেলা-উপজেলায় একটি করে ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন’ শিরোনামে একটি প্রকল্প গত বছর একনেকে পাস হয়।
সৌদি সরকার এখন ওই অর্থ দিতে না চাওয়ায় মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটির সংশোধনী অনুমোদন দেওয়া হয়। ৩৪০ কোটি টাকা কমিয়ে সংশোধিত প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৭২২ কোটি টাকা।
শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এই সভা হয়।
পরে সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নোত্তরে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর সৌদি আরব সফরের সময় সৌদি সরকার এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করার জন্য এক বিলিয়ন ডলারের অনুদানের প্রস্তাব দেয়।
“তাদের (সৌদি সরকার) আগ্রহেই প্রধানমন্ত্রী রাজি হয়েছিলেন। এখন সৌদি সরকার এ অনুদান অস্বীকার করায় সরকার নিজস্ব অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”
তিনি বলেন, প্রকল্পের আওতায় দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে একই মডেলের ৫৬০টি মসজিদ কাম ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। একে ইসলামিক সংস্কৃতির প্রধান কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
এখানে লাইব্রেরি, দাওয়া ওয়াল কার্যক্রম, কোরআন পাঠ ও তাহফিজ, শিশুদের শিক্ষা সুবিধা, নারী ও পুরুষের জন্য আলাদা ওজুখানা ও নামাজ ঘর, অতিথিশালা, বিদেশি পর্যটকদের জন্য ভ্রমণ সুবিধা, মৃতদেহ গোসল করানো এবং হজযাত্রী ও ইমামদের প্রশিক্ষণ সুবিধা থাকবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৬ সালের ৩ থেকে ৬ জুন সৌদি সফরের সময় সেদেশের বাদশাহকে বাংলাদেশের উপজেলা পর্যায়ে ইসলামিক সাংস্কৃতিক সেন্টার স্থাপনের প্রস্তাব দিলে সৌদি বাদশাহ এতে অর্থায়নের আগ্রহ দেখান। পরে ২০১৭ সালের ২৫ এপ্রিল অনুষ্ঠিত একনেক সভায় ওই প্রকল্প চূড়ান্ত অনুমোদন পায়।
বৈঠকে এই প্রকল্পের সংশোধনসহ ১৬ হাজার ১৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ের ১৪টি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। এরমধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে প্রায় ১৩ হাজার ২৮৪ কোটি টাকা, প্রকল্প সহায়তা খাত থেকে প্রায় ২ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা এবং প্রায় ২৪ কোটি টাকার যোগান দেওয়া হবে সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে।
Be the first to comment