
টেকনাফে রোহিঙ্গাদের দুপক্ষের সংঘর্ষে অন্ত:ত ১০ জন আহত হয়েছে। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সোমবার রাত ১১টার দিকে এ সংঘাত বাঁধে বলে জানান থানার ওসি রণজিত কুমার বড়ুয়া ।
আহতদের নাম-পরিচয় তাৎক্ষণিক জানা যায়নি। তাদের মধ্যে ছয়জনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল এবং বাকিদের টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
ওসি রণজিত বলেন, “ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রোহিঙ্গাদের দুটি পক্ষ ধারালো অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয়পক্ষের ১০ জন আহত হয়।”
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
সেখানে ছয়জনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকের পরামর্শে তাদের জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয় বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, “আহতদের মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।”
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হলেও এর পেছনে অন্য কোনো কারণ রয়েছে কি না, তাও তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানান ওসি রণজিত।
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মিয়ানমার ফেরত নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও তাতে এখনও কোনো অগ্রগতি আসেনি।
কক্সবাজারে চাপ কমাতে রোহিঙ্গাদের একটি অংশকে নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচরে সরিয়ে নেওয়ার একটি পরিকল্পনা বাংলাদেশ সরকারের রয়েছে।
মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গাদের মধ্যে প্রায় ১১ লাখ বাংলাদেশে উদ্বাস্তু জীবন কাটাচ্ছেন। এর মধ্যে গত বছর রাখাইন প্রদেশে সেনাঅভিযানের মুখে পালিয়ে আসেন প্রায় ৭ লাখ। তারা রয়েছেন টেকনাফ ও উখিয়ায় শরণার্থী শিবিরে।
Be the first to comment