
জয়ের জন্য ১২ বলে প্রয়োজন তখন ১২ রান। অসাধারণ এক ওভারে মাত্র এক রান দিয়ে মুস্তাফিজুর রহমান নিলেন দুটি উইকেট। ধারাভাষ্য কক্ষে ইয়ান বিশপের রোমাঞ্চিত উচ্চারণ ‘ম্যাজিশিয়ান মুস্তাফিজ’।
কিন্তু সেই জাদুকরী বোলিংয়েও শেষ রক্ষা হলো না মুম্বাইয়ের। শেষ বলের নাটকীয়তায় শেষ হাসি সাকিব আল হাসানদের। রুদ্ধশ্বাস এক জয় পেল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।
এই ম্যাচেই মুখোমুখি সাকিব ও মুস্তাফিজের দল, বাংলাদেশের ক্রিকেট অনুসারীদের আগ্রহ ছিল তাই ম্যাচটিকে ঘিরে। বৃহস্পতিবার রাতে হায়দরাবাদে তুমুল উত্তেজনাপূর্ণ সেই ম্যাচে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে ১ উইকেটে হারিয়েছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।
শেষ ওভারে হায়দরাবাদের দরকার ছিল ১১ রান। হাতে উইকেট মাত্র একটি। কিন্তু ডেড ওভারের অন্যতম সেরা বোলার খ্যাত বেন কাটিং সেই রান আটকাতে পারলেন না। শেষ বলে জয়ের জন্য দরকার ছিল ১ রান। তুলে নিলেন হায়দরাবাদের শেষ ব্যাটসম্যান। কাটিংয়ের কারণে ম্যাচের নায়ক হতে হতেও পারলেন না মুস্তাফিজ।
মুস্তাফিজ নিজের দ্বিতীয় ওভারে ১০ রান দিয়ে এক উইকেট পান। এছাড়া নিজের প্রথম ওভারে দেন আরো ১০ রান। কিন্তু শেষ দুই ওভারে মাত্র ৪ চার দিয়ে ২ উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিলেন তিনি।
১৮ তম ওভারে বুমরাহও দারুণ বল করেন। এরআগে ২৩ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন মারাকান্ডে। মুস্তাফিজ-মারাকান্ডে এবং বুমরাহর প্রথম দিকের এক উইকেটে স্বল্প পুঁজিতে হায়দরাবাদকে ভালোই বেগ দিয়েছে মুম্বাই।
কিন্তু প্রথম ম্যাচের মতো দ্বিতীয় ম্যাচেও অন্য বোলারদের ভুলে হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হলো মুম্বাইকে। এরআগে টস হেরে প্রথম ব্যাট করে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৭ রান তোলে মুম্বাই। মুম্বাইয়ের পক্ষে সূর্য কুমার যাদব এবং পোলার্ড সর্বোচ্চ২৮ করে রান করেন।
রান তাড়ায় ৬২ রানে প্রথম উইকেট হারায় হায়দরাবাদ। এরপর তাদের আর কোন ব্যাটসম্যান দাঁড়তে পারেনি।
তবে দিপক হুদা একপ্রান্তে লড়ে গেছেন। ৩২ রানে অপরাজিত থাকা এই ব্যাটসম্যান শেষ ওভারের প্রথম বলেই ছক্কা মেরে দেন। এরপর ধীরে চলো নীতেতে এক এক করে রান নিয়ে জয় ছিনিয়ে নেন তিনি।
এই নিয়ে সাকিবের দল জিতল টানা দুই ম্যাচ, মুস্তাফিজরা হারল টানা দুটি।