
কোটা বাতিলের বিষয়ে প্রজ্ঞাপনসহ অন্যান্য বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর পরবর্তী নির্দেশনার অপেক্ষায় আছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মোজাম্মেল হক খান সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন।
প্রজ্ঞাপন কবে নাগাদ হতে পারে—এমন প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন সচিব বলেন, ‘যথাসময়েই হবে। “এটা খুব জরুরি না এখন; কারণ এখন তো নিয়োগ হয়ে যাচ্ছে না। কাজেই আমরা যদি একটু সময় নিই, তাহলে দেশের কোনো ক্ষতি হবে না।”
তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন সেগুলো শুনেছি। তিনি কোটা পদ্ধতি বাতিল ঘোষণা করেছেন, আবার তিনি প্রতিবন্ধী, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর যাতে স্বার্থ সংরক্ষিত হয় সে বিষয়ে পৃথক ব্যবস্থা নেবেন সে আশ্বাসও দিয়েছেন।
“আমি এখন অপেক্ষায় আছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে যেভাবে অগ্রসর হতে বলবেন আমি সেভাবে বাকি কাজ করব।”
সব চাকরির ক্ষেত্রেই কোটা বাতিল হবে কি না—এমন প্রশ্নে সচিব বলেন, ‘সুস্পষ্ট নির্দেশনা পেলেই এই বিষয়ে বলা যাবে।’ প্রজ্ঞাপনের সময়ই এসব বিষয়ে উল্লেখ থাকবে বলে জানান তিনি।
গত রোববার থেকে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনে নামেন সারা দেশের শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীরা। পরে গতকাল বুধবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে কোটা বাতিলের ঘোষণা দেন। এরপর আজ কোটা সংস্কার নিয়ে আন্দোলন করা সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতারা প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত করার ঘোষণা দেন।