
ঢাকার ধামরাইয়ে চলন্ত বাসে এক পোশাক শ্রমিককে গণধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার বাসচালক বাবু মল্লিকসহ পাঁচ আসামিকে জিজ্ঞাবাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার আসামিদের বিরুদ্ধে চাওয়া সাত দিনের রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আতিকুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
আগের দিন ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির করে সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধামরাই থানার পরিদর্শক মো. জাকারিয়া।
সেই সঙ্গে ধর্ষিত পোশাক শ্রমিক জ্যেষ্ঠ বিচারকি হাকিম মনিকা খানের খাস কামরায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২২ ধারায় ঘটনার বিবরণ তুলে ধরে জবানবন্দি দেন।
ই মামলার আসামিরা হলেন- ‘যাত্রীসেবা’ বাসের চালক বাবু মল্লিক, তার সহকারী বলরাম দাস, আবদুল আজিজ, সোহেল ও মকবুল হোসেন।
গত রোববার রাত ১২টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের কচমচ এলাকায় চলন্ত বাসটি থামিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার ওই পোশাক শ্রমিককে উদ্ধারের পাশাপাশি চালকসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ধামরাই থানা পুলিশ ও মামলা থেকে জানা গেছে, ধামরাইয়ের শ্রীরামপুর গ্রাফিকস টেক্সটাইল কারখানার এক পোশাক শ্রমিক ছুটি হওয়ার পর তার ভাড়া বাসা ইসলামপুরে ফেরার উদ্দেশে রাত ৯টার দিকে শ্রীরামপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে যাত্রীসেবা পরিবহনের একটি বাসে ওঠেন।
বাসটি কালামপুরে আসার পর অন্য যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। পরে বাসটি ঢাকার দিকে না এসে এদিক-ওদিক ঘুরাতে থাকে। পরে আবার ইসলামপুরের দিকে রওনা দিয়ে কেলিয়া এলাকা থেকে আরও তিনজনকে বাসে তোলে। যাত্রীবেশে ওঠা ওই তিনজনসহ বাসের হেলপার ও সুপারভাইজার হঠাৎ ওই পোশাককর্মীকে বাসের পিছন দিকে নিয়ে হাত, মুখ ও পা বেঁধে ফেলে।
এরপর তিনজন তাকে ধর্ষণ করে। পরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ধামরাইয়ের কেলিয়া ব্রিজের পশ্চিম পাশে বাস থামিয়ে চালকসহ অন্য দু’জন ধর্ষণ করতে গেলে মুখের বাঁধন খুলে চিৎকার দেয় ধর্ষিতা। এ সময় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে টহলরত ধামরাই থানার এসআই ভজন রায় টের পেয়ে বাসটি ধাওয়া দিয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের কেলিয়া ব্রিজের পূর্বপাশ থেকে বাসসহ ধর্ষণকারীদের আটক করেন।