মুন্সিগঞ্জে মোটরসাইকেল কারখানা করছে হোন্ডা

বাংলাদেশে সাড়ে তিনশ কোটি টাকা বিনিয়োগ করছে জাপানের বহুজাতি মোটরসাইকেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হোন্ডা মোটর করপোরেশন । প্রতিষ্ঠানটি মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় প্রতিষ্ঠিত আবদুল মোনেম ইকোনমিক জোনে জমি ইজারা নিয়েছে।
সেখানে ইতিমধ্যে তারা মোটরসাইকেল উৎপাদনের কারখানার নির্মাণকাজ শুরু করেছে।

হোন্ডা এ কারখানায় ২০১৮ সালের মধ্যে উৎপাদন শুরু করতে চায়। পরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রথম বছর তারা ১ লাখ মোটরসাইকেল উৎপাদন করবে। পঞ্চম বছরে উৎপাদনের পরিমাণ ৩ লাখ ইউনিটে উন্নীত করতে চায় তারা।
শুরুতে নতুন কারখানায় প্রায় ৩০০ লোকের কর্মসংস্থান হবে। পরেতে এ সংখ্যা দাঁড়াবে ৫০০ জনে।

এ দেশে বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেড নামের একটি কোম্পানি খুলে ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠানটি গাজীপুরে একটি মোটরসাইকেল সংযোজন কারখানা করে। এতে ৩০ শতাংশ মালিকানা ছিল রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশনের (বিএসইসি)।
নতুন এ প্রকল্পেও একই হারে অংশীদারত্ব থাকছে বিএসইসির।

সূত্র জানায়, হোন্ডা তাদের নতুন কারখানায় প্রায় ৪ কোটি ৪০ লাখ ডলার বিনিয়োগ করবে, বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা। জমির ইজারা, কারখানার ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ, যন্ত্রপাতি আমদানি ও অন্যান্য ব্যয় এর অন্তর্ভুক্ত।
সম্প্রতি হোন্ডার সঙ্গে আবদুল মোনেম ইকোনমিক জোনের জমি ইজারার চুক্তি হয়। আবদুল মোনেম ইকোনমিক জোনে কারখানা নির্মাণ শুরু করা প্রথম প্রতিষ্ঠান হবে হোন্ডা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আবদুল মোনেম ইকোনমিক জোনের পরিচালক এ গফুর বলেন, তাঁদের সঙ্গে প্রায় ২৫ একর জমি ইজারার চুক্তি হয়েছে।

জাপান এক্সটার্নাল ট্রেড অর্গানাইজেশনের (জেট্রো) তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত ২৪৫টি জাপানি কোম্পানি বিনিয়োগ করেছে। জাপানিদের বেশির ভাগ বিনিয়োগ এসেছে টেলিযোগাযোগ, সার, তৈরি পোশাক, বিদ্যুৎ ও রাসায়নিক খাতে।
এসব বেশ ভালো ব্যবসা করছে বলেও তথ্য উঠে এসেছে জেট্রোর সাম্প্রতিক এক জরিপে। এতে বলা হয়, বাংলাদেশে কর্মরত ৬৭ শতাংশ জাপানি কোম্পানি ধারণা করে এ বছর তাদের মুনাফা পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় ১৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে শীর্ষে আছে।