
তৃনমূল ও প্রান্তিক উৎপাদনকারীদের পণ্যের বাজার সম্প্রসারণে ছয়দিনের ‘উন্নয়ন মেলা’ করতে যাচ্ছে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাইন্ডেশন (পিকেএসএফ)।রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে রোববার এ মেলা শুরু হবে, যা চলবে আগামী ৩ নভেম্বর পর্যন্ত।
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে পিকেএসএফ চেয়ারম্যান কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, “বিশ্বের অনেক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, ক্ষুদ্র ঋণ দিয়ে দারিদ্র্য বিমোচন হয় না। আমার গবেষণায়ও এ বিষয়টি উঠে এসেছে।”
এ কারণেই আমরা মানুষের কাছে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তিনি আরও বলেন,“ঋণ নিল, আবার ঋণ আদায় হল- এটাই যেন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু এখন আমরা ঋণ নেওয়া লোকটির কী হল, তার দিকে নজর দিচ্ছি। তাই এখন আমরা টাকা দিয়েই ক্ষান্ত থাকি না, বরং ঋণ গ্রহীতাকে আগে প্রশিক্ষণ দিচ্ছি।”
কাজী খলিকুজ্জামান জানান,১৯৯০ সালে মাত্র ২৩টি সহযোগী সংস্থার মাধ্যমে মাত্র ১০ হাজার ১২ জন উদ্যোক্তাকে সহযোগিতার মাধ্যমে কাজ শুরু করে পিকেএসফ। বর্তমানে সহযোগী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা উন্নীত হয়েছে ২৭৭টিতে।
এসব সংস্থার ৮ হাজার ৬২৮টি শাখার মাধ্যমে প্রতিটি উপজেলায় কার্যক্রম পরিচালনা করছে। পিকেএসএফ এখন প্রায় ১ কোটি ২৭ লাখ ১৫ হাজার প্রান্তিক মানুষের সঙ্গে কাজ করছে জানিয়ে সংস্থাটির প্রধান বলেন, “আগে পিকেএসএফ ইউনিয়ন পরিষদের সঙ্গে সরাসরি কাজ করত না। আর এখন ১৫৩টি ইউনিয়ন পরিষদের সঙ্গে জড়িত।”
দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, গবেষণা ও আইটি, সেবামূলক প্রতিষ্ঠানসহ মোট ৯০টি প্রতিষ্ঠানের ১৩৩টি স্টল মেলায় অংশ নেবে বলেও জানানো হয় অনুষ্ঠানে।প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত মেলা সবার জন্য উম্মুক্ত থাকবে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পিকেএসএফ ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুল করিম ও উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক জসীম উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।