
কালের বির্তনের সাথে সাথে মানুষ যে কত কৌশল আবিষ্কার করছে তা বলা দুরহ। মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি বা হতাশা দূরীকরণের জন্য কি কি উপযোগী খাবার খাওয়া যায় বা কি কি করা যায় তা নিয়েও পুষ্টিবিদ বা মনোবিদরা কম মাথা ঘামান নি।
তাঁরা পুষ্টিবিজ্ঞান ও মনোবিজ্ঞানে বিভিন্ন রকম ফর্মুলাও দিয়েছেন। কিন্তু সভ্যতা যত এগিয়ে যাচ্ছে মানুষ কাজ হাসিল করার জন্য তত শর্টকাট রাস্তা খুঁজছে। এবার আলোচনায় এসেছে ‘চুম্বক থেরাপি’। এটি আসলে ট্রান্সক্র্যানিয়াল ম্যাগনেটিক সিমুলেশন বা টিএমএস নামে পরিচিত।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চুম্বক মানুষের মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে কি না তা নিয়ে ব্যাপক গবেষণার প্রয়োজন আছে। আমরা প্রত্যেকেই নিজ নিজ মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে চাই। কিন্তু ইচ্ছা করলেই তা সম্ভব হয় না। এক্ষেত্রে টিএমএস আপনার মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়াতে পারে বলে এই প্রক্রিয়ার সাথে সংশ্লিষ্টরা দাবি করেছেন। আসলে বহু আগে থেকেই চিকিৎসাবিজ্ঞানে চুম্বকক্ষেত্রের ব্যবহার হয়ে আসছে। কিন্তু মেধা বৃদ্ধির জন্য এর প্রয়োগ হয়নি।
মেধার উন্নয়ন ও হতাশা দূরীকরণের জন্য চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা ভালো ঘুম, পুষ্টিকর খাবার, নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম ও ব্যায়াম করার কথা বলে এসেছেন। কিন্তু উন্নত বিশ্বে এখন অনেক তরুণ-তরুণী শর্টকাট হিসাবে টিএমএস প্রক্রিয়ার সাহায্য নিচ্ছেন। তবে তাঁরা কতটুকু উপকার পাচ্ছেন তা নিয়ে নির্ভরযোগ্য কোনো সমীক্ষা হয়নি।
এ ব্যাপারে নিউরোসায়েন্টিস্টরা বলছেন, মগজের উপরিভাগের স্তরকে চুম্বকক্ষেত্রের প্রভাব বলয়ে নিয়ে আসার কারণে এর কোষগুলো উদ্দীপ্ত হয়। যা অনেকটা শারীরিক ব্যায়ামের মতো। তাই উদ্দীপ্ত কোষগুলো মগজের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে দ্রুত সাড়া দেয়ার ক্ষমতা, বোধশক্তি ইত্যাদি বাড়াতে পারে। তত্ত্বীয়ভাবে এটা সম্ভব।
তবে কতটুকু কাজ হয়েছে সেটা কেবল যার উপর এটি প্রয়োগ করা হচ্ছে তিনিই উপলব্ধি করতে পারবেন। তবে এর মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সুদূরপ্রসারী হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন তাঁরা।