এপ্রিলে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন মিয়ানমারের মন্ত্রী

দেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের দেখতে সেদেশের একজন মন্ত্রী কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শনে আসছেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

সোমবার মস্কোয় রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর দুই মন্ত্রীর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান তিনি।

মিয়ানমারের সমাজকল্যাণ, ত্রাণ ও পুনর্বাসনমন্ত্রী উইন মিয়াট আয়ে ১১ এপ্রিল রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করবেন বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

গত ২৫ অগাস্ট মিয়ানমারে রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর দমন অভিযান শুরুর পর পালিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা। রাখাইনে তাদের প্রত্যাবাসন নিয়ে মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে বাংলাদেশ।

মিয়ানমারে সহিংসতার মুখে গত ২৫ অগাস্ট থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা মিয়ানমারে সহিংসতার মুখে গত ২৫ অগাস্ট থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা প্রথম দফায় প্রত্যাবাসনের জন্য আট হাজার ৩২ জনের একটি তালিকাও দেওয়া হয়েছিল মিয়ানমারকে। ওই তালিকা যাচাই-বাছাই করে ৩৭৪ জনকে রাখাইনের বাসিন্দা হিসেবে চিহ্নিত করার কথা জানিয়ে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ বলেছে, যে কোনো সময় তাদের ফিরিয়ে নিতে প্রস্তুত তারা।
এই আলোচনার প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা একাধিবার মিয়ানমার সফর করেছেন। অপরদিকে মিয়ানমারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লেফটেন্যান্ট জেনারেল খ শোয়েসহ বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বাংলাদেশে এলেও তাদের কেউ এখনও রোহিঙ্গা শিবিরে যাননি।

সোমবার মস্কোয় দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। ছবি-রয়টার্স সোমবার মস্কোয় দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। ছবি-রয়টার্স ১১ এপ্রিল উইন মিয়াট আয়ে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করলে প্রথম মিয়ানমারের মন্ত্রী হিসেবে সেখানে যাবেন তিনি।
লাভরভের সঙ্গে বৈঠকে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে রাশিয়ার সহযোগিতা চান মাহমুদ আলী। গত অগাস্টে রোহিঙ্গা সংকট তীব্র আকার নেওয়ার পর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে আলোচনায় মিয়ানমারের পক্ষে ছিল রাশিয়ার অবস্থান।