জনগণের টাকায় চলে সরকারী কর্মকর্তাদের সংসার: রাষ্ট্রপতি

রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন,গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী জনগণই সকল ক্ষমতার মালিক। তাই আপনাদের প্রতিটি কর্মকাণ্ডে জনগণের কল্যাণকে প্রাধান্য দিতে হবে। মনে রাখবেন, জনগণের ট্যাক্সের টাকায় সরকার চলে, আপনাদের সংসার চলে। কর্মক্ষেত্রে যে সার্ভিস দেন তা জনগণের প্রতি আপনাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। দান বা দয়া নয়।
শনিবার রাজধানীতে ঢাকা অফিসার্স ক্লাবের সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন।

সরকারি আমলাদের কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা আনার ওপর জোর দিয়ে আবদুল হামিদ বলেন, বর্তমান সরকার দেশ জনগণের কল্যাণে বহুমুখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। এসব কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে আপনারা অনেকেই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত আছেন।

সরকারের নীতি নির্ধারণী কর্মকাণ্ডেও আপনাদের সহায়ক ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনাদেরকে নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও গতিশীলতা আনতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। সব ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত প্রভাব ও বিতর্কের ঊর্ধ্বে থেকে সততা, নিষ্ঠা ও নিরপেক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

রাষ্ট্রপতি সরকারি কর্মচারীদের আমলাতান্ত্রিক জটিলতা থেকে দূরে থাকারও পরামর্শ দেন।

১৯৬৭ সালে প্রতিষ্ঠিত অফিসার্স ক্লাবকে সাম্প্রদায়িক দেশের সম্প্রীতির ঐতিহ্যকে সমুন্নত রাখার আহ্বানও জানান প্রতিষ্ঠানটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রাষ্ট্রপ্রধান আবদুল হামিদ।

দেশের দায়িত্বশীল পেশাজীবীদের এই প্রতিষ্ঠান অফিসার্স ক্লাব ঢাকা’র নিবিড় পরিচর্যা দরকার বলে আমি মনে করি। দেশের কৃষ্টি, সভ্যতা, ইতিহাস, ঐতিহ্য এগুলো যাতে আমাদের প্রজন্মের সামনে সঠিকভাবে উপস্থাপিত হয় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। মানবহিতৈষী কর্মকাণ্ডকে আরও সম্প্রসারিত করতে হবে।”

তিনি বলেন, “বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ, যেখানে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবাই এক সুঁতোয়, এক প্রাণে গাঁথা। বাংলার উন্মুক্ত প্রাঙ্গণ সকলের বিচরণের অভয়ারণ্য। আমি আশা করি সম্প্রীতির এই আবহমান ঐতিহ্য সমুন্নত রাখতে নিরন্তর কাজ করে যাবে অফিসার্স ক্লাব ঢাকা।”

ঢাকার বেইলি রোডে ক্লাব প্রাঙ্গনের এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের চেয়ারম্যান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম। আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সংস্কৃতি সচিব মো. ইব্রাহীম হোসেন খান।