
দুর্নীতি প্রতিরোধে দুদক পরিচালিত গণশুনানিতে যেসব অভিযোগ উঠে আসে, তার মধ্যে ৭৩ শতাংশই সমাধান হয় না। বাকি ২৭ শতাংশ সমাধান হয়েছে।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) এক গবেষণায় এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
রোববার রাজধানীর ধানমন্ডিতে টিআইবি কার্যালয়ে আয়োজিত ‘দুর্নীতি প্রতিরোধে দুদক পরিচালিত গণশুনানি: কার্যকারিতা, চ্যালেঞ্জ ও করণীয়’ শীর্ষক এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরেন টিআইবির গবেষক মো. ওয়াহিদুল আলম, মো. রেযাউল করিম ও মো. শহীদুল ইসলাম।
এছাড়া অভিযোগের ধরন বিশ্লেষণে প্রতিবেদনে বলা হয়, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) গণশুনানিতে উপজেলা ভূমি অফিস ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ করা হয়েছে। মোট অভিযোগের ৬৭ শতাংশ ছিল এদের বিরুদ্ধে। আবার অভিযোগের সমাধানের ক্ষেত্রেও ভূমি অফিসগুলো পিছিয়ে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, সমাধানের হার কম হলেও গণশুনানির পর অভিযোগ নিরসনে কর্তৃপক্ষের গৃহীত পদক্ষেপ ইতিবাচক। প্রায় ৭২ শতাংশ অভিযোগের বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
গবেষণাটির সময়কাল ছিল গত বছরের ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত।
অনুষ্ঠানে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, এই গণশুনানিতে ইতিবাচক সম্ভাবনার সৃষ্টি হয়েছে।