
দারুণ খেলেই ঘরের মাঠে টানা দুই ম্যাচ জিতল সিলেট সিক্সারস। উত্তেজনা ছড়ানো ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে তারা। যদিও মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায় ম্যাচটি প্রায় হাত ফসকে যেতে বসেছিল।
১৪৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে সিলেটকে আরও একটি উড়ন্ত সূচনা এনে দিয়েছিলেন দুই ওপেনার আন্দ্রে ফ্লেচার ও উপুল থারাঙ্গা। এই দুজনের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ৮.২ ওভারেই ৭৩ রান তুলে নেয় সিলেট সিক্সারস।
২৯ বলে ৩৬ রান করে ডোয়াইন ব্রাভোর প্রথম শিকার হন ফ্লেচার। ৩ রান করে দ্রুতই সাজঘরে ফিরেছেন ‘আইকন’ সাব্বির রহমান। কিন্তু দলীয় ১০২ রানে থারাঙ্গাও ফিরে গেলে বিপদে পড়ে স্বাগতিকেরা।
জয় থেকে মাত্র ২৮ রান দূরে আফগান লেগ স্পিনার রশিদ খানের বলে স্টাম্পড হন অধিনায়ক নাসির। আউট হওয়ার আগে রশিদ খানের স্পিন-রহস্যের কিনারা করতে পারেননি সিলেট অধিনায়ক। পরপর চারটি বলে কোনো রান করতে পারেননি তিনি।
টান টান উত্তেজনার ম্যাচে শেষ পর্যন্ত সিলেটের ত্রাণকর্তা নুরুল হাসান সোহান। বিদেশি খেলোয়াড়দের ভিড়ে যাঁকে ব্যাট করতে হয়েছে আট নম্বরে। শেষ ওভারে ব্রাভোকে একটি চার আর ছয়ে ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন তরুণ এই উইকেটরক্ষক।
৩৪ রানে ২ উইকেট নিয়ে কুমিল্লার সেরা বোলার ব্রাভো।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৪৫ রান তোলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। ৩৬ রানের উদ্বোধনী জুটির পর দ্রুত ফের যান দুই ওপেনার ইমরুল-লিটন ও জস বাটলার। এরপর অলক কাপালি ও মারলন স্যামুয়েলসের ৪২ রানের জুটিতে ম্যাচে ফেরে কুমিল্লা।
বিপদের মুখে স্যামুয়েলসের ৪৭ বলে ৬০ রানেই লড়াই করার পুঁজি পায় ২০১৫ সালের চ্যাম্পিয়নরা।
সিলেটের বোলিং আক্রমণের শুরুটা আজও করেছেন নাসির। পাওয়ার প্লেতে তাঁর বোলিং আজও ঝামেলায় ফেলেছে প্রতিপক্ষকে। আজও ৪ ওভার বল করে ১৮ রানে তুলে নিয়েছেন ইমরুল কায়েসের উইকেট। ডট বল করেছেন ১২টি।
তবে কুমিল্লাকে এর চেয়েও বেশি ভুগিয়েছেন তাইজুল ইসলাম। পরপর দুই বলে তিনি ফেরান লিটন দাস ও জস বাটলারকে। ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন এই বাঁহাতি।