
এবার সারা দেশে হাইড্রোলিক হর্ন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
হিউম্যান রাইটস্ অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে আইনজীবী মনজিল মোরসেদের সম্পূরক আবেদনের শুনানি শেষে রোববার বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ’র হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ নিজেই। এর আগে রাজধানীতে হাইড্রোলিক হর্ন নিষিদ্ধের নির্দেশ চেয়ে রিট করেছিলেন তিনি। ওই রিটেরই সম্পূরক আবেদনে সারা দেশেই এর ব্যবহার বন্ধের আরজি জানান।
গত ২৩ আগস্ট আগের রিটের শুনানি শেষে রুল জারিসহ রাজধানীতে চলাচলকারী সকল যানবাহনে হাইড্রোলিক হর্নের ব্যবহার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বন্ধ, ২৭ আগস্টের পর কোনো গাড়িতে হাইড্রোলিক হর্ন থাকলে সে গাড়ি জব্দ এবং হাইড্রোলিক হর্নের আমদানি বন্ধ করে
বাজারে এখনও যেসব হর্ন রয়েছে, তা জব্দের নির্দেশ দেন একই হাইকোর্ট বেঞ্চ।
রুলে হাইড্রোলিক হর্ন বন্ধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না এবং সারা দেশে হাইড্রোলিক হর্ন বন্ধে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না- তা জানতে চান হাইকোর্ট।
স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের আইজিপি, হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি, ডিএমপি’র কমিশনার, ট্রাফিকের যুগ্ম কমিশনার, বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান, ঢাকার ট্রাফিকের চার ডিসিসহ ২০ জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
দু’সপ্তাহের মধ্যে হাইড্রোলিক হর্নের আমদানি-ব্যবহার নিষিদ্ধের এ আদেশ বাস্তবায়নের বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদনও দিতে বলেছিলেন আদালত। এর প্রেক্ষিতে গত ০৮ অক্টোবর প্রতিবেদন দাখিল করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশসহ (ডিএমপি) সংশ্লিষ্টরা।
ওইদিন প্রতিবেদন দেখার পর এখনো যেসব গাড়ির মালিক-চালকের কাছে হাইড্রোলিক হর্ন রয়েছে, সেগুলো ১৫ দিনের মধ্যে নিকটস্থ থানা পুলিশের কাছে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
আর পুলিশ কর্তৃপক্ষকে বলেন, যেসব হাইড্রোলিক হর্ন জমা হবে, সেগুলো ধ্বংস করতে হবে।