
রোহিঙ্গা সংকটের মূল উৎস মিয়ানমারে উল্লেখ করে এর সমাধানে রাজনৈতিক সদিচ্ছা নিয়ে মিয়ানমারকেই অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে বলে মনে করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ।
ইইউ’র মানবিক সহায়তা ও সংকট ব্যবস্থাপনাবিষয়ক কমিশনার ক্রিস্টোস স্টাইলানডিস বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের দ্বিপক্ষীয় আলোচনাকে ইতিবাচক অভিহিত করে এর মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসনের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
আর বাংলাদশে রোহিঙ্গাদের মানবিক চাহিদা মেটাতে যতদিন প্রয়োজন ততদিনই সহায়তা নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলে্ও জানান।
বুধবার বিকেলে ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীর সঙ্গে বৈঠক শেষে স্টাইলানডিস এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সাম্প্রতিক অভিযানের আগে থেকেই রাখাইনে রোহিঙ্গারা নানা ধরনের নিপীড়নের শিকার হয়ে আসছে। নিজের দেশে এ ধরনের নিপীড়ন বন্ধ হওয়া জরুরি।
ইইউ কমিশনার ক্রিস্টোস স্টাইলানডিস গত ৩১ অক্টোবর বাংলাদেশ সফরে এসে প্রথমেই কক্সবাজারের কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন।
বুধবার তিনি ঢাকায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন। পরে সাংবাদিকদের জানান, তিন মাস আগে তিনি মিয়ানমারের উত্তর রাখাইন রাজ্য পরিদর্শন করেন। তখনও সেখানে সেনাবাহিনীর অভিযান শুরু হয়নি।
কিন্তু তিনি দেখেন উত্তর রাখাইনে রোহিঙ্গারা নির্যাতন-নিপীড়ন ও দুরবস্থার মধ্যে আছেন।
কমিশনার ক্রিস্টোস স্টাইলানডিস বলেন, রাখাইনে নিষ্ঠুরতার কারণেই দলে দলে রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছে। কম সময়ের মধ্যে কক্সবাজারে বিপুল সংখ্যক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গার চাপ
পুরো এলাকার জীবনকাঠামো এবং পরিবেশের ওপর প্রবল চাপের সৃষ্টি করেছে। এটা ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ সারাবিশ্বের জন্যই বড় ধরনের উদ্বেগের বিষয়।
এ ব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ক্রিস্টোস স্টাইলানডিসের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সংকটের সর্বশেষ ও সবিস্তার চিত্র তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী।
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে দ্রুত প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের ওপর চাপ বজায় রাখার জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইইউ কমিশনারের প্রতি অনুরোধ জানান। কমিশনার পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেন, রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশের
প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়নের দৃঢ় সমর্থনের বার্তা নিয়েই তিনি বাংলাদেশে এসেছেন।