
সারা দেশে একযোগে শুরু হয়েছে উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা। এবার পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
এবার ১০ বোর্ডে মোট ১৩ লাখ ১১ হাজার ৪৫৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। ২ হাজার ৫৪১টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে এই পরীক্ষা। পরীক্ষা শেষ হবে ১৪ মে।
শিক্ষামন্ত্রী আগেই জানিয়েছেন, এবার ৮ হাজার ৯৪৩টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষায় বসবে।
এবার এইচএসসিতে আটটি সাধারণ বোর্ডের অধীনে ১০ লাখ ৯২ হাজার ৬০৭ জন, মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে আলিমে এক লাখ ১২৭ জন, কারিগরি বোর্ডের অধীনে এইচএসসি বিএম-এ এক লাখ ১৭ হাজার ৭৫৪ জন এবং ডিআইবিএসে ৯৬৯ জন পরীক্ষা দেবে।
এবার মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৬ লাখ ৯২ হাজার ৭৩০ জন ছাত্র এবং ৬ লাখ ১৮ হাজার ৭২৭ জন ছাত্রী। ঢাকার বাইরে এবার বিদেশের সাতটি কেন্দ্রে ২৯৯ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেবেন, এরমধ্যে ১৫৯ জন ছাত্র এবং ১৪০ জন ছাত্রী।
এবার ২৮টি বিষয়ের ৫৪টি পত্রের পরীক্ষা সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষা হবে। গত বছরও ৫৪টি পত্রে সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা হয়।
পরীক্ষার দিন থেকে পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোর ২০০ গজের মধ্যে জনসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে পুলিশ।
এবার এই পরীক্ষাকে সামনে রেখে কিছু নতুন সিদ্ধান্তসহ মোট ১৬টি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে কোন সেট প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা হবে, তা লটারি করে ঠিক করা হবে। পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই পরীক্ষা শুরুর আধা ঘণ্টা আগে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। যদি কোনো মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার একই অঙ্কের টাকার সন্দেহজনক লেনদেন হয়, তাহলে থানায় অবহিত করবেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্রের ২০০ মিটারের মধ্যে মুঠোফোনসহ ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকবে। এছাড়া পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত সব ধরনের কোচিং বন্ধ থাকবে।
এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্ন কেনাবেচা ও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁস হতে দেখলে ৯৯৯-তে জানাতে অনুরোধ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।