পেটের মেদ ঝড়াতে করনীয়

শরীরের অন্যান্য অঙ্গের চাইতে পেটের মেদ বা চর্বি নিয়েই জনমনে সর্বাত্মক দুশ্চিন্তা পরিলক্ষিত হয়ে থাকে। কারণ, পেটের মেদ ঝড়ানোই অন্যান্য অঙ্গের চেয়ে তুলনামূলক কষ্টসাধ্য।

এতে সাধারণত অনেকেই ব্যায়ামাগারে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের শরীরচর্চা করার কথা ভাবতে পারেন। তবে বলতে গেলে সময়ের অভাবে অনেকেরই তা করা সম্ভব হয় না।

তাই মেদ ঝরাতে নিয়মিত সকালে হাঁটতে যাওয়া, শরীর আর্দ্র রাখতে লেবুর রস পান করা এবং সুস্থ থাকতে প্রতিদিন হালকা ব্যায়াম করা উচিত।

ভারতের ‘ডায়েট সলিউশন’য়ের পুষ্টিবিদ পারুল পাটনি এবং ‘হিলিং হ্যান্ড’য়ের ফিজিওথেরাপিস্ট স্তুতি ঢিংরা মেদহীন শরীর পাওয়ার কয়েকটি পন্থার কথা জানান। তাঁদের মতেঃ

* মেদহীন পেটের জন্য শরীরের মধ্যভাগ দৃঢ় করুন। দিনের বেশিরভাগ সময় পেট দৃঢ় করুন এবং ফলাফল দেখুন, কাপড় অনেকটাই ঢিলে হয়ে যাবে। নিঃশ্বাস নেওয়া ও কথা বলার সময় পেট ৩০ শতাংশ ভাঁজ করুন। পেট সুন্দর রাখতে সারা দিন এই কাজ চালিয়ে যান।

* যদি মেদহীন শরীর চান তাহলে কেবল পেটের জন্য নয় বরং সারা শরীরের জন্য কিছু নিয়ম মেনে চলুন। সাধারন ব্যায়াম যেমন- শরীর বাঁকানো, পুশ-আপ, পুল-আপ, হাত সামনে ও দুপাশে ছড়িয়ে বুক প্রশস্ত করা এবং উঠ-বস ব্যায়াম নিজেই করা যায়। ১৫ বার করে এই ব্যায়ামের তিন সেটের পুনরাবৃত্তি করুন। তবে কোনো ভাবেই পেট দৃঢ় করার ব্যায়াম ভুললে চলবে না। কারণ এটা মেদহীন পেট পাওয়ার মূল চাবি কাঠি।

* সকালে ৩০ মিনিট হাঁটা আপনার জীবন বদলে দিতে পারে। শরীরের সংযোগস্থল, হৃদয় সুস্থ রাখতে সকালে হাঁটা জরুরি এবং সকালের সজীব বাতাস সারাদিন আপনার স্নায়ু শান্ত করতে, মেজাজ ভালো রাখতে এবং শক্তিশালী ও ইতিবাচক মনোভাব ধরে রাখতে সাহায্য করে।

তবে অবশ্যই পেট দৃঢ় করতে ভুলবেন না। হাঁটার সময়ও এই ব্যায়াম করুন।

* স্বাস্থ্যকর মন আপনাকে শান্ত রাখবে এবং এমনকি কঠিন সময়েও আপনাকে সুস্থ রাখবে। চোখ বন্ধ করে ১০ থেকে ১৫ মিনিট কোমল গান শুনুন। উজ্জ্বল ত্বক পেতে নিয়মিত নিয়মিত এই কাজ করুন এবং এটা আপনার স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও সাহায্য করবে।

* শরীরের আর্দ্রতা ধরে রাখতে প্রচুর পরিমাণে লেবু-পানি পান করুন।

* প্রচুর পরিমাণে সবুজ সবজি, মৌসুমী ও বেরিজাতীয় ফল খান।

* বাতাস চলাচলের জন্য ঢিলেঢালা পোশাক পরুন, এটা আপনার বাড়তি মেদ লুকাতেও সাহায্য করবে।

* তাপমাত্রার পরিবর্তনে নানান রোগের সূত্রপাত ঘটায়। তাই রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো হওয়া জরুরি। সবজি ও ফলের স্মূদি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং এগুলো উচ্চ ভিটামিন ও খনিজ সমৃদ্ধ যা রোগ প্রতিরোধ করে।

* ত্বকের জন্য ভিটামিন এ খুব গুরুত্বপূর্ণ। শীতের সবজি উচ্চ বিটাক্যারোটিন সমৃদ্ধ যা শরীরে ভিটামিন এ’য়ের কাজ করে। প্রচুর সবুজ পাতাবহুল সবজি, গাজর, বিটরুট এবং গ্রীষ্মকালে মূল ভিত্তিক সবজি খান।

* গরমে কোমরের ওজন কমাতে নিম্ন গ্লাইসেমিক খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলুন।