
দেশ দুঃশাসনের বন্দিশালায় পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসিচব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর । তিনি বলেন, আমি মনে করি তারেক রহমান নির্বাসিত। এটা কারাবন্দি হওয়ারই নামান্তর। কারণ বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় তাকে দেশে আসতে বাধা দেওয়া হচ্ছে।
তারেক রহমানের ১১তম কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, “সারাদেশ দুঃশাসনের বন্দিশালায় পরিণত হয়েছে। এমতাবস্থায় আমরা সকলে জননেতা তারেক রহমানের কারামুক্তি দিবসকে স্মরণ করছি। আমি মনে করি তিনি কারামুক্ত নন, আসলে নির্বাসিত। এটা কারাবন্দি হওয়ারই আরেকটি নামান্তর। কারণ মিথ্যা মামলাগুলোতে তাকে দেশে আসতে বাধা দেওয়া হচ্ছে- এটা পরিষ্কার।
“সম্পূর্ণ রাজনৈতিক চক্রান্তে প্রতিহিংসামূলকভাবে ২১ অগাস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় তারেক রহমানকে জড়ানো হয়েছে। এক/এগারোর সরকার যে মামলার অভিযোগপত্রে তার নাম দিতে পারেনি, আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন হওয়ার পর সম্পূরক চার্জশিট দিয়ে তারেক রহমানের নাম দেওয়া হয়েছে। এটা সরকারের প্রতিহিংসার চরিতার্থের নামান্তর। অর্থাৎ নির্দোষ তারেক রহমান আওয়ামী লীগের আক্রোশের শিকার।
সেনানিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ৭ মার্চ তারেক রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরের বছর ৩ সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে চিকিৎসার জন্য সপরিবারে তিনি লন্ডন যান।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ২১ অগাস্টের গ্রেনেড হামলার মামলায় পরপর তিনটি তদন্তে তারেক রহমানের নাম ছিল না। পরে একব্যক্তিকে দিয়ে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি নেওয়া নেওয়ার পর ‘কোনো প্রমাণ না রাখার জন্য’ তাকে ফাঁসি দেওয়া হয়। কিন্তু ফাঁসির আগেই ওই ব্যক্তি তা অস্বীকার করে প্রত্যাহার করে নিলেও আদালত তা গ্রহণ করেনি।
খালেদা জিয়ার সাজার প্রসঙ্গে টেনে তিনি বলেন, “দেশে বিপুল জনপ্রিয় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আজকে মিথ্যা একটি মামলায় বেআইনিভাবে কারাবন্দি। হাই কোর্ট তাকে জামিন দিলেও তাকে মুক্ত করা হচেছ না।
“প্রতিহিংসামূলক এই সরকার দেশনেত্রীকে হয়রানি করার জন্য পরিকল্পিত আইনি প্রক্রিয়ার নামে তাকে সাজা দেওয়া হয়েছে। একব্যক্তির অদম্য ক্রোধ ও হিংসার চরম বর্হিপ্রকাশ ঘটেছে জাতীয়তাবাদী ঐক্যের প্রতীক দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও জনাব তারেক রহমানের ওপর।”
তারেক রহমানের দীর্ঘায়ু ও সুস্থতা কামনা করেন বিএনপি মহাসচিব।
নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, এবিএম মোশাররফ হোসেন, আবদুস সালাম আজাদ, আসাদুল করীম শাহিন ও মুনির হোসেন সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
Be the first to comment