আগুন নিয়ে খেলার পরিণতি ভাল না: বি চৌধুরী

ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী

সাবেক রাষ্ট্রপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন, আজকে দেশে অস্থিরতা চলছে। সংবিধানে স্পষ্ট লেখা আছে, সংবিধানের চূড়ান্ত ব্যাখ্যা দেওয়ার অধিকারী বিচারকেরা। তাঁরা যে বিচার করবেন, তা মেনে নিতে হবে। এর বিরুদ্ধে যদি একদিকে সরকার আর একদিকে সংসদ লেগে যায়, তাহলে তো দুর্ভাগ্যজনক।

রোববার সন্ধ্যা সাতটায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে ভাসানী অনুসারী পরিষদের আয়োজিত এক স্মরণসভায় তিনি এ কথা বলেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী কাজী জাফর আহমেদের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই স্মরণসভার আয়োজন করা হয়।

স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, ‘এটা মস্ত বড় ভ্রান্তি। এই ভুলের পথ দিয়ে যদি দেশে একটা অনাবশ্যক, অরাজকতা সৃষ্টি হয় অথবা দেশে যদি কাম্য নয়, এমন শাসক এসে পড়ে তাহলে এর জন্য কে দায়ী হবে। কাজেই আগুন নিয়ে খেলা উচিত নয়। শান্ত হন, ধীর মাথায় চিন্তা করুন। দেশের যাতে উপকার হয়, সেটা চিন্তা করুন।’

সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে সাবেক মন্ত্রী ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, ‘যে দেশে মিটিং-মিছিল করতে দেওয়া হয় না, বৈঠক করতে দেয় না, সে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে কী করে। এক ব্যক্তির শাসন কায়েম করার জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন হয়নি। আমরা রাস্তায় নামলে দেশের একদলীয় শাসন পালানোর সুযোগ পাবে না।’

স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের চেয়ারম্যান ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও কাজী জাফর আহমেদের একটি মুহূর্তের স্মৃতিচারণা করে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘শেখ মুজিব মাওলানা ভাসানীর রুমে ঢুকছেন, সেখানে দাঁড়িয়ে কাজী জাফর তাঁর বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছেন। কাজী জাফরের নামে পরের দিন রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হয়নি। আজকে হলে ৫৭ ধারা হতো, অথবা গুম হতো অথবা ওখান থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যেত না।’

জাফরুল্লাহ চৌধুরী আরও বলেন, রাজনীতিতে সমালোচনা মেনে নেওয়ার চলটা নেই। আজকে দেশে গণতন্ত্র নেই। এটা ফিরিয়ে আনার জন্য কী করা হচ্ছে। কাজী জাফর আহমেদের প্রতি সবচেয়ে বড় শ্রদ্ধা নিবেদন হবে যদি দেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা যায়।

Be the first to comment

Leave a Reply