
ইচ্ছাকৃতভাবে ৩০ জন নারীর শরীরে এইচআইভি ভাইরাস ছড়িয়ে দেওয়ায় ইতালির এক ব্যক্তিকে ২৪ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
ভলেন্তিনো তাল্লুতো নামের ৩৩ বছরের ওই হিসাবরক্ষককে শুক্রবার দেশটির আদালত এ দণ্ড দেন বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়।
বিচারকেরা রায় ঘোষণার আগে ১০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আলোচনা করেন।
২০০৬ সালে ভলেন্তিনোর শরীরে এইচআইভি ভাইরাস শনাক্ত হয়। একে একে তিনি ৫৩ জন নারীর সঙ্গে অরক্ষিত যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেন। ওই নারীদের মধ্যে একজনের বয়স তখন ছিল ১৪ বছর।
যৌন সম্পর্ক স্থাপনের জন্য নারীদের খুজে পেতে দণ্ডপ্রাপ্ত তাল্লুতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকেও বেছে নিয়েছিলেন। ২০১৫ সালের নভেম্বর মাসে তাকে আটক করা হয়।
ভলেন্তিনোর পক্ষে আইনজীবী জানিয়েছেন, তার এই আচরণ হঠকারী। কিন্তু তিনি ইচ্ছে করে এমন কাজ করেননি।
এএফপি বলছে, যৌন সংসর্গের সময় সঙ্গিনীরা ভলেন্তিনোকে সুরক্ষার কথা বললে তিনি শারীরিক অসুবিধার কথা বলতেন। অথবা দাবি করতেন, সম্প্রতি তিনি এইচআইভি পরীক্ষা করেছেন।
ভলেন্তিনো আদালতকে বলেন, তার মায়ের শরীরে এইচআইভি ভাইরাসের সংক্রমণ ছিল। সে সময় তার বয়স ছিল মাত্র চার বছর। নিজের এইডসে আক্রান্ত হওয়ার খবর নিশ্চিত হলে তিনি নারীদের সঙ্গে মেলামেশা করতেন না।
নিজের কর্মের মাধ্যমে তাললুতো এইচআইভির প্রাদুর্ভাব ছড়িয়েছেন দাবি করে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিতে আদালতের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন কৌঁসুলিরা। কিন্তু আদালত এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে ‘মর্মান্তিক ও নিরাময় অযোগ্য শারীরিক ক্ষতি’ করার কারণে তাললুতোকে দোষী সাব্যস্ত করেন।
তার সঙ্গে মিলিত হওয়া অনেক নারীই তাললুতোর গ্রেপ্তার ও তার শারীরিক পরীক্ষার খবর পাওয়ার পর তারা নিজেরাও এইচআইভি ভাইরাস বহন করছেন বলে জানতে পারেন।
১৯৮০-র দশকে এইচআইভি/এইডস রোগটি পুরো পৃথিবীজুড়ে ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে এ রোগে ভুগে এ পর্যন্ত সাড়ে তিন কোটি মানুষ মারা গেছে।