
‘নির্বাচনী বাজেট’ নিয়ে সমালোচনার অবসান করে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত তার প্রত্যেক বাজেটকেই নির্বাচনী বাজেট হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমার প্রত্যেক বাজেটই নির্বাচনী বাজেট। আর তা তো হবেই। কারণ আমি একটি রাজনৈতিক দলের সদস্য।
রাজনৈতিক দলের একজন সদস্য হিসেবে আমাকে জনগণকে খুশি করতে হয়।’
এবারের বাজেট ‘গরীব মারার বাজেট’ কি-না— এমন প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিকদের সমালোচনা করে অর্থমন্ত্রী পাল্টা প্রশ্ন করে জানতে চান দেশে দরিদ্র মানুষ বাড়ছে কি-না।
কেউ উত্তর না দিলে এক পর্যায়ে অর্থমন্ত্রী নিজেই উত্তর দিয়ে বলেন, ‘না, দেশে দরিদ্র মানুষ বাড়ছে না। এক সময় দেশে দরিদ্র মানুষের হার ছিল ৭০ শতাংশ। গত সাত বছর আগেও দেশে দরিদ্র মানুষের হার ছিল ৩০ শতাংশ। এখন দেশে দরিদ্র মানুষের হার ২২ দশমিক ৪ শতাংশ। সুতরাং এই বাজেট গরীব মারার বাজেট— এই কথাটা ঠিক না।’
বাজেটে করপোরেট ট্যাক্স হার কমানোর প্রস্তাব নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মুহিত বলেন, ‘৪০ শতাংশের ওপর করপোরেট কর খুব কম দেশেই আছে। আমরাও সেটা নামিয়ে এনেছি।’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে আগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। প্রস্তাবিত বাজেটে ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা ব্যয়ের বিপরীতে মোট রাজস্ব আয় প্রাক্কলন করা হয়েছে ৩ লাখ ৩৯ হাজার ২৮০ কোটি টাকা, যা জিডিপির ১৩ দশমিক ৪ শতাংশ। এতে আয়-ব্যয়ের ঘাটতি দাঁড়াবে ১ লাখ ২৫ হাজার ২৯৩ কোটি টাকা, যা জিডিপির ৪ দশমিক ৯ শতাংশ।
প্রস্তাবিত বাজেটে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির হার প্রাক্কলন করা হয়েছে ৭ দশমিক ৮ শতাংশ। এছাড়া গড় মূল্যস্ফীতি প্রাক্কলন করা হয়েছে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ।
Be the first to comment