
হ্যাকিংয়ের শিকার হওয়া সরকারের বিভিন্ন ওয়েবসাইট সচল হতে শুরু করেছে। বুধবার (১১ এপ্রিল) সকাল থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ওয়েবসাইট, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বঙ্গভবন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের ওয়েব সাইটে ঢোকা গেছে।
এর আগে, (১০ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১টার পর থেকে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়সহ বেশ কটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ওয়েবসাইট হ্যাকড হয়।
মঙ্গলবার রাতে এই সাইবার হামলা বিদেশ থেকে পরিকল্পিতভাবে হয় বলে দাবি করেন তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
সার্চ করতে গিয়ে দেখা যায়, রাত ১২টার দিকে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন ওয়েবসাইটে চেষ্টা করে ঢোকা যাচ্ছিল না।
গুগলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নাম দিয়ে সার্চ দেওয়া হলে এই ওয়েবসাইটটি হ্যাকড হওয়ার বিষয়টি স্পষ্ট হওয়া যায়।
ফেইসবুকে একজন বাংলাদেশ জরিপ অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট হ্যাকড হওয়ার ভিডিও তুলেছেন।
তিনি বলেছেন, তিনি ওই সময়টাতে ওয়েবসাইটটি দেখছিলেন, তার চোখের সামনেই এটি হ্যাকড হয়। রাত সোয়া ১১টার পরপরই এই হ্যাকিংয়ের ঘটনাটি ঘটে বলে অনুসন্ধানে জানা গেছে।
হ্যাকাররা ওয়েবসাইটগুলো হ্যাক করার পর স্ক্রিনে ‘হ্যাকড বাই বাংলাদেশ’ লেখা ঝুলিয়ে দেয়। সেই সঙ্গে কোটা সংস্কারের দাবিতে বিভিন্ন বক্তব্যও ছিল।
রাত ১২টার পর এই ওয়েবসাইটগুলোতে ঢুকে হ্যাকিংয়ের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে ওয়েবসাইটগুলো খুলছিল না।
বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হলে তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী পলক পাঁচটি ওয়েবসাইট হ্যাকড হওয়ার কথা স্বীকার করে জানান, এগুলো পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়া চলছে।
নিয়মিত ভিত্তিতে আক্রান্ত ওয়েবসাইটের তালিকা প্রকাশকারী সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক পোর্টাল ‘জোন এইচ’র আর্কাইভে রাত ১২টা পর্যন্ত বাংলাদেশের চারটি সরকারি ওয়েবসাইট হ্যাকারের কবলে পড়ার তথ্য আসে।
পলক বলেন, “কোনো গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে এই কাজ করেছে। দেশের বাইরে থেকে এটা হয়েছে বলে আমরা প্রমাণ পেয়েছি,”
গত কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশ পোর্টালে সাইবার হামলার চেষ্টা হচ্ছিল বলে জানান তিনি।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবির আন্দোলনে উত্তাল এখন দেশের উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো।
আন্দোলনকারীদের উপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে মুখর ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো। তার মধ্যেই সরকারি ওয়েবসাইটগুলো আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটলো ।