
শৃঙ্খলা ফেরাতে গণপরিবহনগুলোকে একটি কোম্পানিতে বা এক ছাতার নিচে আনতে শিগগিরই ডিএসসিসির পক্ষ থেকে উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।
সোমবার নগর ভবনে বিভিন্ন সেবা সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে সমন্বয় সভায় সাঈদ খোকন বলেন, এটা যদিও সময় সাপেক্ষ তারপরেও আমরা কাজটা শুরু করতে চাই। আসছে পহেলা বৈশাখের পরই এ বিষয়ে একটা যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নিতে বৈঠক করা হবে। এই কাজের সঙ্গে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ও অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে একটি সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ বিলালের সভাপতিত্বে সভায় রাউজকের চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান, ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান, তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মীর মশিউর রহমান, ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ানসহ বিভিন্ন সেবাসংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
ফুটপাতগুলো আবারও হকারদের দখলে চলে গেছে, এগুলো উদ্ধার করা হবে কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে মেয়র বলেন, “মানবিক দিক বিবেচনা করে গত ঈদের সময় তাদের বসতে দেওয়া হয়েছিল। আবার উচ্ছেদ করা হবে। হকার এখন শুধু আর গুলিস্তান বা নিউ মার্কেট এলাকায়ই সীমাবদ্ধ নয়। এটা সারা শহরে ছড়িয়ে পড়েছে। এটা নাগরিকদের প্রচণ্ড দুর্ভোগের কারণ হয়ে গেছে। নাগরিক দুর্ভোগ কমানো আমাদের প্রধান কর্তব্য।
“সেই সঙ্গে হকারদেরও যেন জীবন-জীবিকা ঠিক থাকে সেটাও আমাদের দেখতে হবে। সেজন্য আমরা তাদের একটা সময় নির্দিষ্ট করে দিতে চাই যেন তারা ওই সময় ফুটপাতে বসতে পারে। তবে এই মুহূর্তে আমাদের হাতে বেশকিছু কর্মসূচি আছে, এগুলো শেষ হলে হকারদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
সভায় ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান জানান, ঢাকার চারপাশের প্রাকৃতিক জলাধারগুলো ভরাট, খাল দখল এবং শহরের উন্মুক্ত জায়গা কমে যাওয়ায় বৃষ্টির পানি সরতে পারে না।
“এই তিনটা সমস্যা হলো মূল। এই তিনটা সমস্যা সমাধান না হলে জলাবদ্ধতা সমস্যা সমাধান করা সম্ভব না। তবে আমি বলছি, এ বছর আমরা গত বছরের চেয়ে একটু ভালো থাকব।”
ডিসেম্বরের মধ্যে ঢাকা শহরের বাড়িঘরের প্রকৃত অবস্থা জানা যাবে বলে জানান রাজউক চেয়ারম্যান আবদুর রহমান।
“আমরা একটি সার্ভে করছি ঢাকা শহরের প্রত্যেক বাড়ির মালিকের বাড়ির অনুমোদন কত তলা, তার মধ্যে কত তলা করেছেন, সেই বাড়িতে কি ব্যবহার করা হচ্ছে। আগামী এক মাসের মধ্যে এই কাজ শেষ হবে। এছাড়া অগাস্টের মধ্যে সমস্ত ঢাকা শহরের মাটি পরীক্ষা করা হবে। এতে করে কোথায় কত তলা ভবন নির্মাণ করা হবে, কোথায় ভবন করা যাবে, কোথায় যাবে না- এ সংক্রান্ত একটি ধারণা চলে আসবে।”
আগামী মাস থেকে ঢাকায় গ্যাসের চাপ বাড়বে বলে সভায় জানান তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মীর মশিউর রহমান।
তিনি বলেন, “আমাদের সঞ্চালন ও বিতরণ লাইনের কাজ ৯০ শতাংশ শেষ হয়েছে। ৩০ এপ্রিল সিএনজি আমাদের গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে। ফলে মে মাস থেকে গ্যাসের কোনো সমস্যা থাকবে না। তখন গ্যাসের চাপ বাড়বে।”