সারাদেশে শুরু হলো জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা

জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা শুরু

সারাদেশে একসাথে শুরু হয়েছে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ‘জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট’ (জেএসসি) ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের ‘জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট’ (জেডিসি) পরীক্ষা।

বুধবার সকাল ১০টায় জেএসসিতে বাংলা প্রথম পত্র এবং জেডিসিতে কুরআন মাজীদ ও তাজবিদ বিষয়ে পরীক্ষায় বসেছে শিক্ষার্থীরা। এ পরীক্ষা চলবে দুপুর ১টা পর্যন্ত।

এবার পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ২৪ লাখ ৬৮ হাজার ৮২০ শিক্ষার্থী। দেশের ২৮ হাজার ৬২৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এ পরীক্ষা দেবে। মোট দুই হাজার ৮৩৪টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হচ্ছে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা, যা শেষ হবে ১৮ নভেম্বর।

এ বছর থেকে পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে হলে ঢোকা ‘আবশ্যিক’ করেছে সরকার। তবে বিশেষ যৌক্তিক কোনো কারণে কিছুটা বিলম্ব হলে তা বিবেচনা করে দেখা হবে বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এবার জেএসসি-জেডিসির মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৩ লাখ ২৪ হাজার ৪২ জন ছাত্রী এবং ১১ লাখ ৪৪ হাজার ৭৭৮ জন ছাত্র।

আট বোর্ডের অধীনে জেএসসিতে ২০ লাখ ৯০ হাজার ২৭৭ এবং মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে জেডিসিতে তিন লাখ ৭৮ হাজার ৫৪৩ জন পরীক্ষা দেবে। গত বছর এ পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ২৪ লাখ ১২ হাজার ৭৭৫ জন। গতবারের চেয়ে এবার পরীক্ষার্থী বেড়েছে ৫৬ হাজার ৪৫ জন।

জেএসসিতে ৯৬ হাজার ২১২ জন এবং জেডিসিতে ১৪ হাজার ৩৬৭ জন অনিয়মিত পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেবে। বিদেশের নয়টি কেন্দ্রে এবার ৬৫৯ শিক্ষার্থী জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবে। গত বছর এক থেকে তিন বিষয়ে যারা অকৃতকার্য হয়েছিল তারাও এবার পরীক্ষা দেবে। এ সংখ্যা জেএসসিতে ৮৭ হাজার ৬৯৭ এবং জেডিসিতে ১১ হাজার ৭৭০।

এবারও বাংলা দ্বিতীয় পত্র, ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র ছাড়া অন্যসব বিষয়ের পরীক্ষা হবে সৃজনশীল প্রশ্নপত্রে। জেএসসি-জেডিসিতে এবার থেকে শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য, কর্মমুখী শিক্ষা এবং চারুকলা বিষয়ের পরীক্ষা হবে না। বছরজুড়ে ধারাবাহিক মূল্যায়নের মাধ্যমে এসব বিষয়ের নম্বর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বোর্ডে সরবরাহ করা হবে।

নিয়মিত পরীক্ষার্থীদের চতুর্থ বিষয়সহ ১০টি পত্রে ৮৫০ নম্বরের পরীক্ষায় বসতে হবে। বহুনির্বাচনী ও সৃজনশীল প্রশ্নপত্রে দুটি বিভাগ থাকলেও দুটি অংশ মিলে ৩৩ পেলেই পাস বলে গণ্য হবে, অর্থাৎ এসএসসির মতো দুই অংশে আলাদাভাবে পাসের প্রয়োজন নেই।

শ্রবণপ্রতিবন্ধীসহ অন্য প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীরা বরাবরের মতো অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় পাবে। অটিস্টিক, ডাউন সিনড্রোম ও সেরিব্রাল পালসিজনিত প্রতিবন্ধীরা পাবে অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময়। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসিজনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই তারা শ্রুতি-লেখক সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষা দিতে পারবে।