
রাখাইনে সহিংসতার মুখে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশমুখী হওয়ার কারণে মিয়ানমারের দূতের কাছে উদ্বেগ জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
রাখাইন পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য ঢাকায় মিয়ানমার দূতাবাসের শার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স অং মিন্ট শনিবার বিকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুব জামানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
সীমান্তবর্তী রাখাইন রাজ্যে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা ৩০টি পুলিশ তল্লাশি চৌকিতে হামলা চালিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১২ সদস্যকে হত্যার পর উদ্বেগ ও শঙ্কার মধ্যে পালিয়ে বাংলাদেশে আসার চেষ্টা চালাচ্ছে রোহিঙ্গারা। ওই হামলার সময় ৭৭ জন বিচ্ছিন্নতাবাদী নিহত হয়েছে বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে।
পালিয়ে আসা কয়েক হাজার রোহিঙ্গা এখন কক্সবাজারের উখিয়ায় নাফ নদীর তীরে অবস্থান করছে বাংলাদেশে ঢোকার অপেক্ষায়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, নতুন করে শুরু হওয়া এই সহিংসতার বিষয়ে তথ্য রাখছে বাংলাদেশ এবং মিয়ানমারের বাহিনীর ওপর হামলার নিন্দা জানিয়ে নিরাপরাধ মানুষের প্রাণহানিতে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।

এর আগে গত বছর ৯ অক্টোবর সন্ত্রাসী হামলার পর একই ধরনের সেনা অভিযানের মুখে বাংলাদেশ অভিমুখে রোহিঙ্গাদের ঢল নামার কথাও বৈঠকে উল্লেখ করেন সচিব। সে সময় প্রায় ৮৫ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করে।
নারী, শিশু ও বৃদ্ধসহ হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক সীমান্তে জড়ো হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে মিয়ানমারের দূতকে অবহিত করে সচিব।
“বাংলাদেশ ইতোমধ্যে প্রায় চার লাখ মিয়ানমারের নাগরিককে আশ্রয় দেওয়ায় আবারও ওই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ,” বলেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
দীর্ঘ দিন ধরে কয়েক লাখ রোহিঙ্গার ভার বহন করছে বাংলাদেশ। মুসলিম এই জনগোষ্ঠীর নাগরিকত্ব অস্বীকার করে আসছে মিয়ানমার।
Be the first to comment