
দুই বছর আগে চট্টগ্রামের নৌবাহিনীর ঘাঁটি ঈশা খাঁর মসজিদে বোমা হামলা মামলার চার্জশ্টিভুক্ত এক আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। সোমবার সকালে ঝিনাইদহ থেকে বাবলুর রহমান ওরফে রনিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ঝিনাইদহ র্যাব-৬ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মনির আহমেদ জানান, সোমবার সকালে শহরের আরাপপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে বাবলুরকে তারা গ্রেপ্তার করেন।
গ্রেপ্তার বাবলুর সাতক্ষীরার তালা উপজেলার বারইখালী গ্রামের আব্দুল গাফফার সর্দারের ছেলে। তিনি কাপ্তাইয়ে নৌ বাহিনীর শহীদ মোয়াজ্জেম ঘাঁটিতে ক্যান্টিন বয় হিসাবে কাজ করতেন।
এতদিন ঝিনাইদহ আত্মগোপনে থাকার পর পালিয়ে উত্তরবঙ্গে যাওয়ার সময় র্যাব সদস্যরা তাকে গ্রেপ্তার করে বলে জানান মেজর মনির।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “বাবলুর নব্য জেএমবি সরওয়ার তামিম গ্রুপের সদস্য। শুরুতে শহীদ মোয়াজ্জেম ঘাঁটির মসজিদে হামলার পরিকল্পনা ছিল তাদের। পরে তা পরিবর্তন করে ঈশা খাঁ ঘাঁটির মসজিদে হামলা চালানো হয় বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে বাবলুর।”
২০১৫ সালের ১৮ ডিসেম্বর জুমার নামাজের পরে ১০ মিনিটের ব্যবধানে ঘাঁটির ভেতরের দুটি মসজিদে বোমা হামলা চালায় জঙ্গিরা। বিস্ফোরণে সামরিক-বেসামরিক মিলিয়ে ২৪ জন আহত হন।
বোমা হামলার নয় মাস পর গত ৩ সেপ্টেম্বর নেভাল প্রভোস্ট মার্শাল কমান্ডার এম আবু সাঈদ বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী ও বিস্ফোরক আইনে নগরীর ইপিজেড থানায় একটি মামলা করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে গত ১৫ অক্টোবর তদন্ত কর্মকর্তা উসমান গণি আদালতে অভিযোগপত্র দেন।
মামলার পাঁচ আসামির মধ্যে আবদুল মান্নান, তার ভাই আবদুল গাফফার ও রমজান আলী কারাগারে আছেন। পলাতক দুজনের মধ্যে বাবলুর গ্রেপ্তার হলেও নৌবাহিনীর সাবেক সদস্য এম সাখাওয়াত হোসেন এখনও পলাতক।
এ মামলার এজাহারে বলা হয়, জেএমবির চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রধান সমন্বয়ক রাইসুল ইসলাম খান নোমান ওরফে নাফিস ওরফে ফারদিনের নেতৃত্বেই নৌ ঘাঁটির মসজিদে ওই আত্মঘাতী বোমা হামলা চালানো হয়।
ফারদিন গত বছর ৩ এপ্রিল বগুড়ার শেরপুরে গ্রেনেড বানাতে গিয়ে বিস্ফোরণে নিহত হন বলে পুলিশ জানায়। এ কারণে তার নাম এ মামলার আসামি তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়।
২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে নৌঘাঁটিতে হামলার ৯ দিন পর ২৭ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার আমান বাজারে ফারদিনের ভাড়া বাসায় অভিযান চালিয়ে সেনা পোশাক, র্যাংক ব্যাজসহ অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করে চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশ।