
স্পেনে রিয়ালের সময়টা যেন ভালো যাচ্ছে না। ইসকোর করা মন্তব্য আবারো ফলে গেল। ঘরের মাঠে হারতে হারতে শেষ পর্যন্ত সমতা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হলো রিয়াল মাদ্রিদকে। শেষ সময়ে গোল করে লম্বা সময় পিছিয়ে থাকা দলকে ১ পয়েন্ট এনে দিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।
অ্যাথলেটিকোর বিপক্ষে শুরুতেই রিয়াল কোচ মাঠে নামান সিআরসেভেনকে। বল নিয়ন্ত্রনে নিয়েও খেলেছে রিয়াল মাদ্রিদ। আক্রমণ করেছে বার বার। কিন্তু কিছুতেই যেন কিছু হচ্ছিল না।
তবে দলটা তো রিয়াল! শেষ সেকেন্ড পর্যন্ত না দেখে ছেড়ে দেবে না তারা। তাই হলো। ম্যাচের ৮৭ মিনিটে গোল করে রিয়ালকে সমতায় ফেরালেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।
সান্তিয়াগো ব্যার্নব্যুতে ম্যাচের ১৪ মিনিটেই পিছিয়ে পড়ে রিয়াল মাদ্রিদ। প্রথমার্ধের গোল করে অ্যাথলেটিকো ক্লাবকে এগিয়ে নেন ইনাকি উইলিয়াম। এরপর গোল করে সমতায় ফিরতেই পার হয়ে গেছে রিয়ালের বাকি সময়। জয়ের দেখা আর পায়নি।
অ্যাথলেটিকো এর আগে রিয়ালের মাঠে খেলতে এসে ১২ ম্যাচের সবকটিতে হেরেছে। ওই ১২ ম্যাচে গোল খেয়েছে ৪৪ টি। ম্যাচ প্রতি ৩.৬ টি করে। অথচ সেই অ্যাথলেটিকো ক্লাবের বিপক্ষে শেষ সময়ের গোলে সমতা রিয়ালের দুশ্চিন্তার কারণ না হয়ে যায় না।
পুরো ম্যাচে ৬৬ শতাংশ বল পায়ে নিয়ে খেলেছে রিয়াল। গোলের লক্ষ্যে আক্রমণ করেছে ১০ বার। সেখানে বিপক্ষ দলের গোল মুখে আক্রমণ সাকুল্যে দুটি। এর একটি গোল হয়েছে।
৬৩ মিনিটে অ্যাথেটিকোর প্রথম শটটি ফিরিয়ে দেন গোলরক্ষক কেউলর নাভাস। কিন্তু বিপদ মুক্ত করতে পারেননি। ফিরতি বলে পেয়ে গোলে শট নেয় অ্যাথলেটিকো। কিন্তু কারভাজালের বুকে লেগে ফিরে আসে বল। তাতেও বিপদমুক্ত হয়নি। এরপরে আবার অ্যাথলেটিকো গোলে শট নিলে বারে লেগে ফিরে আসে বল।
তবে ম্যাচের শুরুতে গোল না খেয়ে বরং গোল দিতে পারত লস ব্লাঙ্কোসরা। ম্যাচের ৯ মিনিটের মাথায় কারভাজালের ক্রসে রোনালদো হেড করলে ক্রসবারে লেগে ফিরে যায়। এরপর ১১ মিনিটে আবার অ্যাসেনসিওর আক্রমণ প্রতিহত করে অ্যাথলেটিকো ক্লাব।
১৭ মিনিটে মার্সেলো দারুণ এক আক্রমণ করে। কিন্তু গোলরক্ষক তা প্রতিহত করেন। প্রথমার্ধের ৩২ মিনিটে ক্রুসের ফ্রি কিকে দারুণ মাথা ছোঁয়ান কারভাজাল কিন্তু জালে যেতে দেয়নি অ্যাথলেটিকো গোলরক্ষক কেপা। প্রথমার্ধের আগে রিয়ালের হয়ে শেষ আক্রমণটা করেন অ্যাসেনসিও। কর্ণার থেকে দারুণ বল ধরে একক নৈপুন্য গোল শট নেন তিনি। এবার অ্যাথলেটিকোর ত্রাতা গোলপোস্ট সামলানো কেপা।
৬৪ মিনিটে রিয়ালের প্রতিপক্ষ গোল বঞ্চিত হওয়ার চার মিনিট পরে গোলে শট নেয় রিয়াল। সহজেই তা নিয়ন্ত্রনে নেয় অতিথী গোলরক্ষক। এরপর ৭২ ও ৭৭ মিনিটে আরো দুটি আক্রমণ করে জিদানের শিষ্যরা।
শুরুর ধাক্কা সামাল দিয়ে ধীরে ধীরে চাপ বাড়ায় রিয়াল। তার সুফলও পায় ৮৭তম মিনিটে। লুকা মদ্রিচের শটে দারুণ দক্ষতায় দিক পাল্টে বল জালে পাঠান রোনালদো। চলতি আসরে এটি তার ২৪তম গোল।
দারুণ চেষ্টা করলেও বাকি সময়ে আর জালের দেখা পায়নি রিয়াল। আর গোল পায়নি ২০০৫ সালের পর প্রথমবারের মতো বের্নাবেউয়ে জয়ের আশা দেখানো আথলেটিককো।
এই জয়ে ৩৩ ম্যাচে ৬৮ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরেই আছে রিয়াল। দিনের অন্য ম্যাচে গেটাফের কাছে ২-১ গোলে হেরে যাওয়া ভালেন্সিয়া ৬৫ পয়েন্ট নিয়ে আছে চার নম্বরে।
৮৩ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে বার্সেলোনা। এক ম্যাচ কম খেলে ৭১ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে রয়েছে আতলেটিকো মাদ্রিদ।