বিধবা নারীকে বিয়ে করলেই পকেটে ঢুকবে নগদ ২ লাখ রুপি। সম্প্রতি ভারতের মধ্যপ্রদেশের সমাজ কল্যাণ দপ্তরের এই নতুন উদ্যোগে ৪৫ বছরের নিচে কোনও বিধবাকে বিয়ে করলেই নগদ ২ লাখ রুপি দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রাজ্য সরকার। আর এতেই বিধবাকে বিয়ে করার হিড়িক পড়ে গেছে ওই রাজ্যে।
রাজ্য সরকারের আশা, এই উদ্যোগের মাধ্যমে বছরে ১০০০ বিধবার পুনর্বিবাহ সম্ভব হবে । তবে বিজ্ঞপ্তি জারি হতেই বিধবা বিবাহের এমন ধুম পড়ছে যে সরকারের হিসেব রাখাটাই মুশকিল হচ্ছে।
কিন্তু আচমকা এই উদ্যোগ কেন? বস্তুত, গত জুলাই মাসে ইন্ডিয়ান সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারকে বিধবা বিবাহে উৎসাহ দিতে নীতি নির্ধারণের পরামর্শ দেয়। কিন্তু কেন্দ্রের বদলে মধ্যপ্রদেশ সরকার আগে এই উদ্যোগ নেয় এবং তার জন্য আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করে। সংশ্লিষ্ট তহবিলে ২০ কোটি রুপি বরাদ্দও করেছে শিবরাজ সিং চৌহানের সরকার।
যদিও ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের উদ্যোগে ১৮৫৬ সালেই আইন পাস করে বিধবা বিবাহ বৈধ হয়। কিন্তু সরকারিভাবে খুব একটা বিধবা বিবাহে উৎসাহ দেওয়ার ঘটনা চোখে পড়েনি ভারতে।
ঘোষণা অনুযায়ী, ১৮ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে কোনও বিধবাকে বিয়ে করলেই পাত্রর হাতে ২ লক্ষ টাকা তুলে দেবে সরকার। তবে এ প্রস্তাব রাজ্যের অর্থ দপ্তরের কাছে পাঠানো হয়েছে অনুমোদনের জন্য। তারপর ক্যাবিনেট বৈঠকে চূড়ান্ত সিলমোহর পড়লেই তিন মাসের মধ্যে এই প্রকল্প চালু হবে।
তবে, এই প্রকল্পর অপব্যবহার যাতে না হয় তাও নজরে রাখবে রাজ্য সরকার। দুর্নীতি রুখতে সরকারের নীতি, অবশ্যই পাত্রকে অবিবাহিত হতে হবে। আগের বিয়ে গোপন করে এই প্রকল্পর সুবিধা নেওয়া যাবে না।
দ্বিতীয়ত, জেলা আধিকারিকের দপ্তর থেকে বিয়ের রেজিস্ট্রি প্রশংসাপত্র দেখাতে হবে। গ্রাম পঞ্চায়েত বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষর ইস্যু করা প্রমাণও বিবেচ্য হবে না বলে জানানো হয় সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে। সুত্র: ইন্ডিয়া টাইমস
