রোহিঙ্গাদের জন্য একই এলাকায় বেশি ক্যাম্প বিপজ্জনক: জাতিসংঘ

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প

মিয়ানমার থেকে জোর পূর্বক বাস্তচ্যুত ৮ লাখের বেশি রোহিঙ্গার জন্য বাংলাদেশে যে বিশাল শরণার্থী ক্যাম্প নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে তা বিপজ্জনক হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের এক শীর্ষ কর্মকর্তা।

তিনি বলেছেন, এক স্থানে মাত্রাতিরিক্ত মানুষ বসবাসের ফলে নানা ধরণের প্রাণঘাতি রোগ দ্রুত মহামারি আকারে দেখা দিতে পারে।

শনিবার বার্তা সংস্থা এএফপিকে এ কথা বলেন ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক রবার্ট ওয়াটকিনস।

গত ২৫ আগস্ট মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে চার লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। এছাড়া গত চার দশকের বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ এসেছে প্রায় চার লাখ রোহিঙ্গা। যাদের বেশির ভাগ আশ্রয় নিয়েছেন সীমান্তবর্তী জেলা কক্সবাজারের কুতুপালংয়ে।

বাংলাদেশ সরকার নতুন করে আসা রোহিঙ্গাদের জন্য কুতুপালংয়ে বিশ্বের সর্ববৃহৎ শরণার্থী ক্যাম্প তৈরির পরিকল্পনা করছে।

তবে, রবার্ট ওয়াটকিনস এক স্থানে এ ক্যাম্প তৈরি বিপদজনক মন্তব্য করে বলেছেন, বাংলাদেশের উচিত রোহিঙ্গাদের জন্য নতুন স্থানে ক্যাম্প নির্মাণ করা।

তিনি বলেন, বিপুল সংখ্যক মানুষ ছোট এলাকায় রাখা বিপজ্জনক; বিশেষ করে তাদের মধ্যে যদি মুহূর্তে রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে।

তিনি বলেন, তাদের মধ্যে যদি কারো ছোঁয়াচে রোগ থাকে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। এছাড়া সেখানে আগুন লাগার ঝুঁকি রয়েছে। আর যদি তাদের একাধিক জায়গায় রাখা হয় তাহলে একদিকে তারা যেমন নিরাপদের থাকবে তেমনি তাদের দেখাশুনা করাও সহজ হবে।

তবে বাংলাদেশের কর্মকর্তারা বলছেন, নতুন এই ক্যাম্পের কারণের শরণার্থীদের ত্রাণ ও নিরাপত্তা দেওয়া সহজ হবে।

মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য রাখাইনে সেনাবাহিনীর অভিযানের মুখে ইতোমধ্যে পাঁচ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। গত অাগস্ট মাসে রাখাইনে অভিযান শুরু হয়। এটিকে এক বড় রকমের মানবিক বিপর্যয়ে বলে মনে করছে জাতিসংঘহ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো।