
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ গুয়েতেমালায় ভয়াবহ অগ্ন্যুৎপাতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬২ জনে দাঁড়িয়েছে। উদ্ধার অভিযান এখনও চলছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
এক হাজরেরও বেশি মানুষকে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। নিখোঁজ মানুষদের খোঁজে সন্ধান চালাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা।
সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, আগ্নেয়গিরি থেকে গল গল করে বেরিয়ে আসছে জ্বলন্ত লাভা স্রোত। বেরিয়ে আসছে ছাই ও শীলা। এসবের প্রভাবে গ্রামগুলো ধ্বংস হচ্ছে।
প্রায় এক শতাব্দীকালের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর এ অগ্ন্যুৎপাতে আহত হয়েছে কয়েকশ’ লোক।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজধানী গুয়েতেমালা সিটির প্রায় ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত আগ্নেয়গিরিটি থেকে উত্তপ্ত শিলা, কালো ধোয়া ও ছাই নির্গত হচ্ছে।
গুয়েতেমালার জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, লাভার একটি স্রোত এল রোডেও নামের একটি গ্রামকে গ্রাস করেছে। এতে ওই গ্রামের বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গেছে এবং অনেক মানুষ দগ্ধ হয়েছে।
অগ্ন্যুৎপাতের কারণে আকাশে ছাই ছড়িয়ে পড়ায় গুয়েতেমালা সিটির লা অরোরা বিমানবন্দর বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
দেশটির প্রেসিডেন্ট জিমি মোরালেস জানিয়েছেন, জাতীয় জরুরি অবস্থা মোকাবেলা প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘অন্তত তিনটি এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছি আমরা।’
স্থানীয় বিশেষজ্ঞদের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭৪ সালের পর ফুয়েগো আগ্নেয়গিরির এটাই সবচেয়ে বড় অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা।
Be the first to comment