
কোরীয় উপদ্বীপকে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত করার লক্ষ্যে একযোগে কাজ করতে সম্মত হয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া।
সেই সঙ্গে অস্ত্রের ঝনঝনানি বন্ধ করে এ বছরই একটি শান্তি চুক্তিতে সই করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও চীনকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করে যাওয়ার অঙ্গীকার এসেছে দুই দেশের শীর্ষ নেতাদের কাছ থেকে।
দুই দেশের সীমান্তবর্তী গ্রাম পানমুনজমে শুক্রবার উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইনে মধ্যে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক বৈঠক শেষে এ ঘোষণা আসে। খবর বিবিসির
এই ঘোষনার মধ্য দিয়ে সাড়ে ছয় দশকের বৈরিতার অবসান ঘটিয়ে কোরীয় উপদ্বীপে শান্তি ফিরিয়ে আনতে ঐতিহাসিক ঐকমত্যে পৌঁছেছে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া।

তবে কীভাবে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের কাজ শুরু হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি।
দুই দেশের এই যৌথ ঘোষণায় আরও যা আছে
>> দুই কোরিয়া নিজেদের মধ্যে হামলা বা সামরিক কর্মকাণ্ড বন্ধ করা
>> যুদ্ধের প্রচার বন্ধ করে দুই দেশের সীমান্তের ‘ডিমিলিটারাইজড জোন’কে শান্তির অঞ্চলে পরিণত করা
>> কোরীয় উপদ্বীপের অস্থিরতা কমাতে অস্ত্র কমিয়ে আনা
>> যুদ্ধের কারণে দুই দেশে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া পরিবারগুলোর পুনর্মিলনের ব্যবস্থা করা
>> সীমান্তে সড়ক ও রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন
>> আসন্ন এশিয়ান গেইমসসহ বিভিন্ন ক্রীড়া প্রযোগিতায় যৌথভাবে অংশগ্রহণ
শুক্রবার সকালে দুই কোরিয়ার সীমান্তবর্তী বেসামরিক অঞ্চল পানমুনজমে বৈঠকটি শুরু হয়। বৈঠকের ঘণ্টাখানেক আগে কিম উত্তরের সীমারেখা পার হন। ১৯৫০-৫৩ সালে দুই কোরিয়ার যুদ্ধের পর এই প্রথম উত্তর কোরিয়ার কোনো নেতা দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্তে প্রবেশ করেন।
কিমকে সীমান্তের সামরিক সীমারেখায় স্বাগত জানান দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইন। এরপর অনার গার্ডের সদস্যরা দুই নেতাকে গার্ড অব অনার দিয়ে নিয়ে যান সীমান্ত গ্রাম পানমুনজমে।
বৈঠকের আগে সীমান্ত ধরে কিছুক্ষণ হাঁটেন কিম জং উন। এসময় প্রেসিডেন্ট মুনের সঙ্গে হাত মেলান কিম জং। অতিথি বইয়ে স্বাক্ষর করেন কিম জং। সেখানে তিনি লেখেন— ‘নতুন যুগের শুরু’।
এরপর মিডিয়ার সঙ্গে অল্প কিছুক্ষণ কথা বলে রুদ্ধতার বৈঠকে বসেন দুই কোরিয়ার শীর্ষ দুই নেতা।