
স্পেন থেকে পুরোপুরি আলাদা হতে কাতালোনিয়ার স্বাধীনতাকে এখনও সমর্থন দেয়নি ইউরোপ -আমেরিকা। বিশ্বের শক্তিধর রাষ্ট্রগুলোর স্বীকৃতি বা সমর্থন না পেলেও স্বাধীনতার দাবীতে অনড় কাতালোনিয়া বিরাট একটি অংশ।
এদিকে স্পেনের সার্বভৌমত্বের প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করেছে জার্মানি। আর স্পেনের প্রধানমন্ত্রী মারিয়ানা রাহয়-এর কাজের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে ফ্রান্স।
ব্রিটেন বলেছে, স্পেনের অখণ্ডতা অটুট থাকুক এবং তাদের সংবিধান সমুন্নত থাকুক এটি তাদের প্রত্যাশা।যে গণভোটের উপর ভিত্তি করে কাতালোনিয়া স্বাধীনতা ঘোষণা করেছে সে গণভোট অবৈধ বলছে ব্রিটেন ।
কাতালোনিয়া স্বাধীনতা ঘোষণা দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে বেশ দ্রুততার সাথে সিদ্ধান্ত নিতে শুরু করেছে স্পেন সরকার।
সংসদ বিলুপ্ত করে সেখানে কেন্দ্রের শাসন জারি করাসহ তাৎক্ষণিক আরো কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্পেন।
কাতালোনিয়ার নেতা কার্লেস পুজডেমন এবং তাঁর অন্যান্য সাংসদদেরকে বরখাস্ত করা হয়েছে।পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে কাতালান আঞ্চলিক পুলিশ প্রধানকেও।
কাতালোনিয়ার স্বাধীনতা প্রশ্নে গত পয়লা অক্টোবর একটি গণভোট হয়। এতে ৯০ শতাংশ ভোটার কাতালোনিয়ার স্বাধীনতার পক্ষে রায় দেন।
গণভোটের ফল মেনে গত ১০ অক্টোবরই স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে সই করেন অাঞ্চলিক নেতারা।
সেই ঘোষণারই বিলম্বিত বাস্তবায়ন হলো সর্বশেষ এই স্বাধীনতা ঘোষণার মাধ্যমে।
কাতালোনিয়া স্পেনের অন্যতম ধনী এবং স্বতন্ত্র অঞ্চল। বহুদিন ধরেই এই অঞ্চলে নিজেদেরে স্বাধীনতার দাবীটি বিচ্ছিন্নভাবে চলে আসছিলো।