মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের অন্তর্গত বঙ্গোপসাগরে কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ একটি গভীর সমুদ্র বন্দরের ৭০ শতাংশ মালিকানা চীন পেতে চলেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির একজন কর্মকর্তা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রাথমিক চুক্তিতে চীনকে ৮৫ শতাংশ মালিকানা দেওয়ার কথা থাকলেও মিয়ানমারের অভ্যন্তরে আপত্তির কারণে এখন তা কমিয়ে ৭০ শতাংশ করা হয়েছে। নতুন প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য মিয়ানমারের ভাইস প্রেসিডেন্ট হেনরি ভ্যান থিওর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে বলে জানান মিয়ানমার সরকারের পক্ষ থেকে ওই প্রকল্প দেখভালের দায়িত্বে থাকা কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও মং। তবে এই প্রকল্পে অর্থায়ন নিয়ে এখনও দুই পক্ষ সিদ্ধান্তে পৌঁছেনি।
এদিকে চীনের সিআইটিআইসি মিয়ানমার’র নির্বাহী প্রেসিডেন্ট ইউয়ান শাওবিনের একটি সাক্ষাৎকার সোমবার মিয়ানমার টাইমসে প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে তিনি ওই কোম্পানির ৩০ শতাংশ শেয়ারের কথা বলেছেন। আনুমানিক ৭ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারের অর্থায়ন নিয়ে সিদ্ধান্তে আরও আলোচনা দরকার বলে জানিয়েছেন তিনি।
রয়টার্স বলছে, ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড’ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে মিয়ানমারের এই বন্দরের মালিকানা পেতে চায় চীন। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে চীন মধ্যপ্রাচ্য থেকে জ্বালানি আমদানিতে মালাক্কা প্রণালী এড়িয়ে বিকল্প পথ পেতে বঙ্গোপসাগরের কিয়া কিউ বন্দর চাইছে, যেখানে চীনা তেল ও গ্যাস পাইপলাইনের সূচনা বিন্দু হবে।এই বন্দর ছাড়াও রাখাইনে একটি স্পেশাল ইকোনোমিক জোন তৈরি করবে চীন।
সেনা সমর্থিত প্রেসিডেন্ট থেইন সেইনের সরকারের করে যাওয়া চুক্তিতে এই প্রকল্পের জন্য মিয়ানমারকে শুধু ১৫ শতাংশ অর্থ যোগানোর কথা বলা হয়।কিন্তু এখন মিয়ানমার সরকারের কাছে মালিকানার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ৩০ শতাংশ অর্থায়ন চাইছে সিআইটিআইসি। অপরদিকে অর্থায়ন নিয়ে আগের চুক্তিতে অনড় থাকতে চাইছে মিয়ানমার।
রোহিঙ্গা নির্যাতন নিয়ে পশ্চিমারা মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সমালোচনামুখর হলেও চীন সেই পথে না হেঁটে বিষয়টি মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সমস্যা হিসেবে দেখছে।