
প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা তাঁর বাসাতেই আছেন বলে নিশ্চিত করেছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি আব্দুল ওয়াাহাব মিঞা। সকালে প্রধান বিচারপতির অবস্থান জানতে চেয়ে আইনজীবীদের করা একটি আবেদনের প্রেক্ষিতে একথা জানান ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি।
প্রধান বিচারপতি একমাসরে ছুটি চাওয়ার পর থেকেই বিএনপি সমর্থক আইনজীবীরা বলছেন তাকে জোর করে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। এনিয়ে তারা সুপ্রিম কোর্ট বার ভবনে বিক্ষোভ করে। দফায় দফায় বৈঠক করেন সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের নেতারা। বুধবার বেশ কজন সিনিয়র আইজীবীর সাথে বৈঠক করেন বার এসোসিয়েশনের সভাপতি জয়নাল আবদীন। সেখানে সিদ্ধান্ত হয় তারা ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির কাছে এবিষয়ে আবেদন করবেন।
বৃহস্পতিবার সকালে এমন একটি আবেদন নিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে উপস্থাপন করেন। এসময় ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি নিশ্চিত করেন প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা তার সরকারি বাসভবনেই আছেন।
সরকার প্রধান বিচারপতিকে চাপ দিয়ে ছুটিতে পাঠিয়েছে বলে অভিযোগ তোলার পর বুধ বার এসোসিয়েশন বৈঠক করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবীদের সঙ্গে
আইনজীবী সমিতির কার্যকরি কমিটির অধিকাংশ সদস্যের সঙ্গে সাবেক বিচারপতি খাদেমুল ইসলাম চৌধুরী, নজরুল ইসলাম চৌধুরী, আব্দুল আওয়াল, আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন, সাবেক আইনমন্ত্রী মওদুদ আহমদ, গিয়াসউদ্দিন আহমেদ বৈঠকে ছিলেন।
বিএনপির নিয়ন্ত্রণে থাকা সমিতির উদোগে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে আওয়ামী লীগ সমর্থক আইনজীবীদের কেউ উপস্থিত ছিলেন না।
বৈঠক শেষে বারের সম্পাদক মাহবুবউদ্দিন খোকন সাংবাদিকদের বলেন, তারা সর্বসম্মতভাবে দুটি প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন।
সভাপতি জয়নুল আবেদীন বলেন, “প্রথম রেজুলেশন হল, আজকের সভায় যারা উপস্থিত ছিলেন সেসব জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এবং সমিতির সকল সদস্য মিলে আগামীকাল সকাল ৯টায় আপিল বিভাগের এক নম্বর আদালতে লিখিতভাবে দিক-নির্দেশনা এবং সাহায্য কামনা করব, কীভাবে বর্তমান প্রধান বিচারপতির অবস্থা জানতে পারি।
“দ্বিতীয় রেজুলেশন হলো- সাবেক অনেক বিচারপতি আছেন যারা আদালতে আসেন। তাদের অনেকেই বারের মেম্বারশিপ নিয়েছেন। তাদের মধ্যে সাবেক জ্যেষ্ঠ বিচারপতি খাদেমুল ইসলাম চৌধুরীর নেতত্বে একটি প্রতিনিধি দল প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্য চেষ্টা করবেন।”