ভবন ভাঙতে মুচলেকা দিয়ে আরো এক বছর সময় পেলো বিজিএমইএ

ভবন ভাঙতে আর কোন সময় চাইবেনা, আপিল বিভাগে এমন মুচলেকা দিয়ে রাজধানীর কারওয়ান বাজার এলাকায় হাতিরঝিলে অবৈধভাবে নির্মিত বিজিএমইএ’র ভবন ভাঙতে আরও এক বছর সময় পেয়েছে।

সর্বোচ্চ আদালত বলেছে, বিজিএমইএ ১৬ তলা ওই ভবন ভেঙে ফেলার আগে ২০১৯ সালের ১২ এপ্রিল পর্যন্ত সময় পাচ্ছে।

আদালতের নির্দেশে বিজিএমইএ সংশোধিত মুচলেকা জমা দেওয়ার পর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারকের আপিল বেঞ্চ সোমবার এই আদেশ দিল।

প্রধান বিচারপতি বলেন, “এবার যেন বাস্তবায়ন হয়, ১২ মাস ১০ দিন সময় পাচ্ছেন এটা মনে রাখবেন।”
ভবন ভাঙতে ২০১৯ সালের ১২ এপ্রিল পর্যন্ত সময় পেয়েছে বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ। সে হিসেবে এক বছর দশ দিন সময় পেল বিজিএমইএ।

ভবন ভাঙতে আরও এক বছর সময় চেয়ে বিজিএমইএ’র করা আবেদনের শুনানি শেষে গত ২৭ মার্চ সর্বোচ্চ আদালত বিজিএমইএ’র কাছ থেকে এই মর্মে মুচলেকা চান যে, ভবিষ্যতে ভবন ভাঙতে আর সময় চেয়ে তারা আবেদন করবে না। বিজিএমইএ-ও সেসময় মুচলেকা দিতে রাজি হয়েছিল।

এর আগে গত বছরের ৮ এপ্রিল ভবনটি ভাঙতে বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষকে সাত মাস সময় দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ। ওই সময় আদালত আদেশে বলেছিলেন, ‘এটাই শেষ সুযোগ। আর সময় দেওয়া হবে না।’

সেই সাত মাস শেষ হওয়ার কয়েকদিন বাকি থাকতেই গত ৫ মার্চ ভবনটি ভাঙতে আরও এক বছর সময় চেয়ে আবেদন করে বিজিএমইএ।

রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে দৃষ্টিনন্দন লেক হাতিরঝিলের বুকে দাঁড়িয়ে আছে অবৈধভাবে গড়ে তোলা ১৬ তলাবিশিষ্ট বিজিএমইএ’র ভবনটি। এই ভবন নির্মাণে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) অনুমোদন ছিল না। শুরু থেকেই এর বিরোধিতা করে আসছিলেন পরিবেশকর্মীরা।

গত বছরের ৫ মার্চ আপিল বিভাগ বিজিএমইএ ভবন ভাঙতে রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে (রিভিউ) করা আবেদন খারিজ করে দেন। ওই সময় বিজিএমইএ’র পক্ষ হতে ভবন থেকে বিভিন্ন জিনিসপত্র স্থানান্তরের জন্য তিন বছর সময় চেয়ে আবেদন করা হয়। আদালত ১২ মার্চ আবেদন নিষ্পত্তি করে তাদের ছয় মাস সময় দেন।

এর আগে ২০১০ সালের ৩ এপ্রিল সৌন্দর্যমণ্ডিত হাতিরঝিল প্রকল্পে বিজিএমইএ ভবনকে ‘একটি ক্যান্সার’ বলে আখ্যায়িত করেছিলেন হাইকোর্ট। ওই সময় আদালত ৯০ দিনের মধ্যে ভবনটি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন।